দীর্ঘক্ষণ ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালানোর পর জানা গিয়েছে, চার জওয়ান ও দুই সাধারণ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় ওই এলাকায় প্যাট্রলিংয়ে নিযুক্ত ছিল সেনা জওয়ানরা। সেইসময়ই ধস নামে। বরফের স্তূপের ভিতর আটকে পড়েন তাঁরা।
২০১৬-তে তুষার ধসে এই সিয়াচেনেই প্রথমে নিখোঁজ হন ১০ ভারতীয় সেনা। হিমবাহের উত্তর অংশে তুষার ধস ঘটার পরে অনুমান করা হয় ওই দলটি ৬০০ মিটার উঁচু এবং ১ কিলোমিটার প্রশস্ত এক বরফ-প্রাচীরের অন্তরালে আটকে পড়েছিল। উদ্ধারকাজের পর জানা যায়, মারা গিয়েছেন ১০জনই।
এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারভেজ মুশারফ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমনন্ত্রী মনমোহন সিংহ সিয়াচেন থেকে সেনা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কিন্তু ভারতের দাবি ছিল, বর্তমানে অবস্থান অনুযায়ী ম্যাপ বা স্যাটেলাইট ডকুমেন্টেশন-এ রাজি হয়নি পাকিস্তান। ফলে সিয়াচেন থেকে ভারতীয় সেনাও সরেনি।
কারণ সৌজন্যের সুযোগ নিয়ে একবার যদি পাকিস্তান যদি একবার ভারতের দখলে থাকা জায়গাগুলির দগখল নিয়ে নেয়, তাহলে কাশ্মীরের একাংশ-সহ লেহ, লাদাখ, নুবরা নদী উপত্যকা, লেহ-লাদাখ হাইওয়ে-সহ সব কিছুরই দখল পাক সেনার হাতে চলে যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত সিয়াচেনে প্রায় ৯০০ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন সৌমিত্রবাবু। কিন্তু একবার পাকিস্তান সিয়াচেনের দখল নিলে তার পুনর্দখল নিতে ২-৩ হাজার ভারতীয় সেনার মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন বিশেষজ্ঞরা।