গাজী মোহাম্মদ হানি, সোনাগাজী প্রতিনিধি: সোনাগাজী উপজেলার চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আগামী-২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে । টেষ্ট পরীক্ষায় ৩/৪ বিষয়ে ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের অর্থের বিনিময়ে ফরম পূরণ করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকেরা ।
আর এইসব অপকর্ম করছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল হক ও প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ।
চর দরবেশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজির আহমেদ বেলাল জানান- চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়টিতে নানান অনিয়ম হচ্ছে এবং এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে, এমনকি কোন কোন ছাত্রছাত্রী থেকে ৫০০০/= টাকা পর্যন্ত আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে । স্থানীয় উমেশ মাস্টার ও বিষ্ণু মাস্টারের মেয়ের কাছ থেকে ৪০০০/= টাকা করে ফি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।
ইতিপূর্বে এই বিদ্যালয়ের প্রকাশিত স্মরণিকার কোথাও জাতীর জনকের নাম ছবি কিংবা বর্তমান সরকার অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম ছবি এমনকি সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন কিংবা ঐ স্কুলে সরকার প্রদত্ত কোন প্রকল্পের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটা লাইন লিখা হয়নি । জাতীয় দিবসগুলো দায়সারা গোছের পালন করা হয়, যেগুলোতে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক ও বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন বিষয়ে থাকেনা কোন বক্তব্য ।
এলাকার অনেকের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সিলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচিত বর্তমান সভাপতি একজন জামায়াত সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক । তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কারণে বিদ্যালয়টি তার ইচ্ছেমতো পরিচালনা করছেন।
প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন জানান- সরকার নির্ধারিত ফি- বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের থেকে ১৯৭০/= ব্যাবসা ও মানবিক বিভাগের ১৮৫০/= টাকা । নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করা ও অতিরিক্ত টাকা টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও তিনি অনেক বিষয়ে তার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন- অনেক বিষয়ে আমার ইচ্ছে থাকলেও অনেকক্ষেত্রে আমার দ্বারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়না । অসুস্থ অবস্থায় এই বৃদ্ধ বয়সে চাকুরি বাঁচানোর স্বার্থে আমাকে অনেককিছু মেনে নিতে হয় ।
প্রতিবেদক কর্তৃক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল সিট দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন দেখাতে অনীহা প্রকাশ করেন ।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. আবদুল হকের সাথে কথা বলতে বারবার ফোন দিলেও তিনি কল ধরেননি, এক পর্যায়ে কল ধরেও বলেন- এই বিষয়ে কথা বলা যাবেনা আমি ব্যস্ত আছি বলে কল কেটে দেন ।