ব্রাহ্মণাবাড়িয়া মন্দবাগ স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথা দু’ট্রেনের মুখোমুখি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ির কুয়েত প্রবাসী বিল্লাল বেপারী মেয়ে ফারজানা রহমান । এঘটনায় তার সাথে থাকা ৮ স্বজন মা বেবী বেগম,ভাই হাসান বেপারী, নানু ফিরোজা বেগম,মামাতো বোন মিতু, ইবলি, শিশু দ্রুব,মামী সাহিদা গুরুতর আহতে হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে পঙ্গুত্বের পথে।
এদিকে ফারজানার স্বপ্ন ছিল আজ বাগাদি গণি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে তার স্বপ্নের পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করবে। ফারজানার স্বপ্ন স্বপ্ন থেকে গেল তাইতো শেষ দিন ছিল ফাজানার । তাইতো খালার বাড়ি বেড়ানোর সময় কমিয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল ফারজানা। এটাই কি তার কথা ছিল। ফাজানার স্বপ্ন কে ভুলে ভেংগে দিল ঐ আতংকিত একটি দুর্দান্ত দুর ঘটনায় রাক্ষস নামের রেল গাড়ী ।
ফারজানার লাশ চাঁদপুরে তার বাড়িতে আনার পর এলাকার হাজারো লোক বাড়িতে অাসে। তার বিদ্যালয়ে শত শত সহপাঠীসহ অন্য ক্লাশের শত শত শিক্ষার্থী তার এ অকাল মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে ছুটে আসে।
এ বিষয়ে মৃত ফারজানার সহপাঠী এসএসসি পরিক্ষার্থী অন্তরা জানান,‘ফারজানা আমাদের ক্লাশের একজন ভাল ছাত্রী। সে ছিল আমাদের ভাল বন্ধু। ফারজানা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আমাদের সাথে এসএএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। সে খুব মেধাবী ছাএী ছিল ক্লাশে তার রোল ৯। টেস্টএ সে সকল বিষয়ে ভাল নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। আজ ১২ নভেম্বর তার ফরমফিলাপ করার কথা ছিল কিন্তু সে আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেল না ফেরার দেশে।
ফারজানার ফুফাতো বোন আয়েশা আক্তার জানান,‘ মঙ্গলবার সিলেটের শ্রীমঙ্গলে খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ফারজানাসহ তাদের পরিবার। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। আমাদের পরিবারে আরো ৮ জন স্বজন গুরুত্বর আহত হয়ে পঙ্গু হাসপতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের অনেকে হয়তো পঙ্গু হয়ে যাবে।’
খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ফারজানার লাশ আনতে তালুকদার বাড়িতে যান চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.নাছিম উদ্দিন। এলাকার লোকজনের ও সহপাঠিদের আপত্তি কারণে লাশ আর আনা সম্ভব হয়নি।