ঢাকারবিবার , ১১ আগস্ট ২০১৯
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদে কামার ব্যাসায়ীরা ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন-দৈনিক বাংলার অধিকার

প্রতিবেদক
admin
আগস্ট ১১, ২০১৯ ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মো:ইব্রাহিম খলিল পন্ডিত(বিশেষ প্রতিনিধি) চাঁদপুর জেলাঃ দৈনিক বাংলার অধিকার,
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কামার ব্যাসায়ীরা কর্ম ব্যাস্ততার মধ্যে সময় পাড়ি দিচ্ছে,সামনে পবিত্র কোরবানী উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী হযরত ইবরাহীম(আ:)মহান আল্লাহ খুশি করার জন্য তার নিজ প্রিয় পুএ হযরত ইসমাইল (আ:)কে কুরবানি দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।আল্লাহর এই নির্দেশ হযরত ইবরাহিম (আ:)তার প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ:)কে জানিয়ে কুরবানির প্রস্তুতি গ্রহন করেন।হযরত ইসমাইল(আ:) তার পিতা হযরত ইবরাহিম (আ:) কে আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য এবং তাকে কুরবানি প্রস্তুতি গ্রহনের অনুরোধ জানান।

 

হযরত ইসমাইল (আ:)তার পিতাকে অনুরোধ করে বলেন আপনি যখন আমাকে কোরবানী দিবেন অর্থ্যাৎ আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী আমার গলায় যখন ছুরি চালাবেন। তার পূর্বে আপনি প্রথমে আমার দু-হাত এবং দু-পা বেঁধে ফেলবেন। আপনার কোন রকম কষ্ট যেন না হয়।হে আমার পিতা আপনি আপনার দু চোখ বেধেঁ ফেলবেন, আমার গলায় ছুরি চালনায় মহুত্তে আমার প্রতি আপনার কোন মায়া যেন সৃষ্টি না হয় এবং আল্লাহর নির্দেশ যেন আপনি মান্য করতে পারেন।হযরত ইবরাহিম (আ:)তাই করলো এবং প্রিয় পুত্রের গলায় ছুরি চালানো পূর্বে মহুত্তে মহান আল্লাহ হযরত ইসমাইল (আ:) ব্যাবহারে খুশি ফেরেশতাদের মাধ্যমে হযরত ইসমাইল (আ:) কে সরিয়ে একটি দুম্বা রেখে দিলেন। তখন দুম্বাটি কোরবানী হয়ে গেল। হযরত ইসমাইল (আ:)পাশে দাড়িয়ে হাসতে লাগলেন।তখন হযরত ইব্রাহিম (আ:) কোরবানী দেওয়ার পরে চোখের বাঁধন খুলে দেখলেন তার প্রিয় পুত্র পাশে দাঁড়িয়ে হাসতেছে এবং পুত্রের স্হানে একটি দুম্বা জবা হয়ে আছে।তখন পিতা এবং পুত্র মহান আল্লাহর কাছে শুকুরিয়া আদায় করলেন।
সে থেকে পুশু কোরবানী দেওয়া নিয়ম মেনে, পশু কোরবানী দেওয়া এবং কোরবানীর কাজ সম্পূর্ন করার জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা কামারের কাছে প্রস্তুত করতে হয়।কোরবানী করার জন্য কামারের কাজের বিনীময়ে তাদের প্রাপ্ত মজুরি প্রদান করা হয়।
শাহরাস্তি ঠাকুর বাজার কামার ব্যাবসায়ী,দিলীপ কর্মকার ও মানিক কর্মকার বলেন, আমরা বংশ পরমপরায় প্রায় ৫০ বছর যাবত কামার ব্যাবসা করে আসছি।মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মীয় ঈদুল আযহার সময়, আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য আয়ের পরিমান সন্তুষ্টিজনক ভাবে লাভবান হই। কামার ব্যাসায়ীরা বলেন, বছরে কোরবানীর সময় আমাদের এত কাজ থাকে। আমরা এই সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নিয়ম এবং তাদের কোরবানীর যন্ত্রপাতি তৈরি করে ভালো টাকা উপার্জন করে থাকি।

Don`t copy text!