রাকিবুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের ২য় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে গাইবান্ধার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিক্রি কম হলেও হাটে কোরবানির গরু উঠেছে প্রচুর। তবে প্রতি বছরের মত ভালো দাম না থাকায় হতাশ সাধারণ বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় মোট ৩১টি কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ১৮টি স্থায়ী ও ১৩টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। ইতিমধ্যেই এসব কোরবানির পশুর হাটে ব্যাপকভাবে উঠতে শুরু করেছে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেঁড়া।
জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট সাঘাটার ভরতখালী, সদর উপজেলার মাঠেরহাট, দারিয়াপুর, গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট, ফাঁসিতলাসহ বিভিন্ন হাটে এবার দেশী গরু, ছাগলের বিক্রি বেশী। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারের হাট গুলোতে নেই ভারতীয় গরু। ভারতীয় গরু হাটে দেখা না গেলেও গরুর দাম অন্যান্য বারের তুলনায় কম হওয়ায় ন্যায্য দাম পাচ্ছে না সাধারণ বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
দারিয়াপুর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা কুপতলা ইউনিয়নের চাপাদহ গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, আমার এ গরু লালন পালন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। হাটে ক্রেতারা দাম বলছেন ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। আসল টাকাই নেই। লাভতো দূরের কথা।
আরেক গরু বিক্রেতা আয়নাল হক বলেন, ক্রেতারা খুবই কম দাম বলছে। ক্রেতাদের দাম বলা দেখে মনে কষ্ট হয়। এত কষ্ট করে গরু পালন করে বাজারে এসে যদি দাম পাওয়া না যায় তাহলে কষ্ট ছাড়া আর কিছুই না। ক্রেতারা মনে করছে এবারের বন্যার কারণে গরুর দাম কম হবে। কিন্তু বন্যার কারণে গরুকে বেশী দামে খাদ্য কিনে খাওয়া হয়েছে। এটা ক্রেতারা বুঝতে চেষ্টা করছেন না।
দারিয়াপুর হাট ইজারাদার আয়েন উদ্দিন জানান, এ হাটে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যাতে টাকা-পয়সা নিয়ে নির্বিঘ্নে গরু কেনাবেচা করতে পারে সেজন্য পুলিশি টহল ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূরের ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া জাল টাকা সনাক্তকরণ ব্যবস্থাসহ আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমে হাটের চারপাশে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য লোকজন রয়েছে।