শাহারিয়ার হুসাইন: মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শার্শার সেতাই এ,সি,আই(আমলাই, কলোনি, ইছাপুর) মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। কেউ কেউ বলছেন বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে তিনি ঠিকাদারের সাথে হাত মিলিয়ে ভবন নির্মাণের কাজে অনিয়ম করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আর তার এই অনিয়মের কাজে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হতে হচ্ছে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত। ফলে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়টির অভিভাবক মহলে চরম হতাশা বিরাজ করছে। জানা গেছে, যশোরের শার্শার সেতাই গ্রামের আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে সেতাই এসিআই মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়ে আসা ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা থেকে মোটা অংকের টাকা নয়ছয় করে হাতিয়ে নিতে ঠিকাদারের সাথে হাত মিলিয়ে ভবন নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছেন। অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবহার করছেন এ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজে। শিডিউলের নিময় না মেনে সিমেন্টের থেকে বালুর পরিমান বেশী ব্যবহার করছেন ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত এই বিদ্যালয়ের নির্মাণধীন ভবনে। ফলে তার এ অনিয়ম ও দূর্নীতির কাজে এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্ট হয়েছে। যার ফলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এলাকাবাসী তার এহেন কাজের প্রতিবাদ করতে গেলে গত শনিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষকের সাথে এলাকাবাসীর বাকবিতণ্ড সৃষ্টি হয়। এসময় প্রধান শিক্ষক একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে সে তার ভাই কামরুজ্জামান টুটুলসহ ১০/১২ জন দূবৃত্তকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করতে আসা এলাকাবাসী উপর হামলা চালালিয়ে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এসময় উপজেলার সেতাই গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন গাজির ছেলে জোহর আলী গুরুত্বর আহত হয়। এব্যাপারে শার্শার সেতাই এসিআই মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভাব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিতে ভাল হতো। বিষয়টির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।