মোঃ মিজানুর রহমান (ডোফুরা), দিনাজপুর প্রতিনিধি।।
২৯ জুলাই, ১৯ সোমবার দুপুর ২.৩০ টায় দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” স্টুডেন্ট’স কমিউনিটি পুলিশিং ” এর ব্যানারে গুজব, ইভটিজিং, বাল্য-বিবাহ, মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুশান্ত সরকার পিপিএম।
তিনি বলেন – সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ব্যানারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।আমরা আশাবাদী আগামী দিনের প্রজন্মকে সত্য ও আলোর পথে নিয়ে আসতে পারলেই এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
আমরা লক্ষ্য করেছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র ছাত্রীরা সাদরে গ্রহণ করেছে এই ধরনের সভা গুলো।
চাকুরির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের প্রত্যেকের আছে। আমরা ইচ্ছে করলেই পারি সচেতনতার মাধ্যমে দুষ্টু লোকদের প্রতিহত করতে, যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা পুলিশ কর্তৃক এ ধরনের কার্যক্রম চলমান আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আমরা চাই সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন – যারা বিভিন্নভাবে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এবং ফেসবুকে যারা গুজব শেয়ার করছে, লাইক কমেন্ট করছে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। দিনাজপুরে কিছু ফেসবুক আইডি সনাক্ত করা হয়েছে। তাই সবাই সচেতন থাকুন, ” গুজব কে না ” বলুন।
“ গুজব ছড়াবেন না,
আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” স্টুডেন্ট’স কমিউনিটি পুলিশিং ” এর ব্যানারে গুজব, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী মতবিনিময় সভায় কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেদওয়ানুর রহিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা।
বিশেষ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচারণা পত্রে উল্লিখিত – ছেলে ধরা বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে একটি গুজব। এ ধরনের গুজবে কান দিবেন না। গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য কোন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেশের অস্হিতিশীলতা তৈরী করা রাষ্ট্র বিরোধী কাজের শামিল এবং দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ। তাই এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল শ্রেনীর মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কাউকে ছেলে ধরা বলে সন্দেহ হলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে তাকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করুন। প্রয়োজনে ৯৯৯ – এ টোল ফ্রি কল করে জরুরী সাহায্য নিন।