রকিব হাসান জামালপুর প্রতিনিধিঃ আমাদের ১/২ কেজি চিড়া-মুড়ির (ত্রাণ) প্রয়োজন নাই,গায়ে শক্তি আছে কাজ করে খেতে পারবো।ছেলে-মেয়েদের নিরাপদে স্কুলে পাঠাতে চাই।আমরা রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চাই।আমরা নির্ভাবনায় বাঁচতে চাই।তাই আমরা বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত হওয়া বেহাল রাস্তা ও নদী ভাঙনের হাত থেকে পরিত্রাণ চাই। মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কাহেতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান তালুকদার গ্রামবাসীর পক্ষে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এমন আকুতি করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।বংশী বেলতৈল ও খায়েরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জানান,বাপ-দাদাদের বহু সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।যদি এ নদী ভাঙন রোধ করা যায় তাহলে বাকি যে জমিগুলো আছে সেগুলো হারাতে হবে না।ত্রাণ হিসেবে ১/২কেজি চিড়া-মুড়ি চাই না।ওই ত্রাণের টাকা দিয়ে সরকার আমাদের নদী ভাঙন রোধ করে দিক। ছবিলাপুর ও আমির্তী গ্রামের বাসিন্দা জানান,এখন আর না খেয়ে মারা যাওয়ার মতো কেউ নেই।প্রায় সকলের ঘরেই সারাবছর কম বেশি শুকনো খাবার মজুদ থাকে।তাই আমরা শুকনো খাবার বিতরণের নামে এ নাটক আর দেখতে চাই না।আমরা আমাদের বেহাল রাস্তাঘাটগুলোর দ্রুত সংস্কার চাই। জানা গেছে,এ ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের অধিক।ত্রাণ বরাদ্দ এসেছে,মাত্র ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার।যা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।তবুও বন্যার্তদের মাঝে কোন খাবারের চাহিদা নাই।কিন্তু গবাদিপশু পাখির খাবার সংকট দেখ