~”অ” “প্রা” “প্তি” ~
~~~~~~~~~~~পাপিয়া আক্তার
তোমাকে ছোঁয়ার ব্যাকুলতায় বিরহ ছুঁয়ে
জ্যোৎস্না রাতে এই চোখ যখন কাঁদে
তখন বন্ধ কুঠুরিতে আমিও ফুঁপিয়ে কাঁদি।
মধ্য রাতে বালিশ চেপে অনিয়ন্ত্রিত দহনে
বুকের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা একাকীত্বে
ঠকঠক হাতুড়ির আঘাতে কিছু একটা ভেঙে
চুরমার করে দেয়।
পাঁচটি বছর পচন ধরা হৃদে কিরা পোকা
কিলবিল করে উঠেছে রোজ একটু একটু করে,
ভীষন অসহায়ত্ব নিয়ে লড়েছি পাঁচটি বছর।
নিঃশ্বাস চেপেছিলাম অসহনীয় ব্যাথায়
হাড় ভাঙা গোঙ্গানি নিয়ে কখনো মাটিতে
গড়াগড়ি করে,কখনো হাত কামড়ে ধরে সহ্য
সীমানায় লুটোপুটি খেয়ে।অথচ তখনও
তুমি বিভোর ঘুমে।
দীর্ঘদিন ধরে বট গাছের ঝুরি গুলো যেমন
করে মাটিতে নেমে এসে মাটি আঁকরে থাকে
তেমনি করে দীর্ঘ দিন- রাত- ক্ষন ধরে আমি
তোমার অপেক্ষায় থেকেছি।ভেবেছি বুকে
লেপ্টে থাকা নোনা কান্না হয়ে আসবে,
জ্যোৎস্নায় এক ফালি আলো হয়ে নতুবা
বিষাদে জড়ানো ক্লান্ত রাতের পর এক টুকরো
আঁধার হয়ে আসবে।কিন্তু না……………..
তুমি কষ্টের হূল হয়ে আমার বুক পাঁজরে
এসে বিঁধেছো।
তোমাকে ভুলতে গেলেই কেমন অসহায়
লাগে,মনে হয় তন্দ্রাঘোরে একটি মুখ,
অপ্রাপ্তির বিশ্বাসে কাঁদে।কখনো ক্ষিপ্র গতির
বিজলীর মতন অগ্নিগর্ভ ধারণ করে ইচ্ছে
করেছে আকাশে বাতাসে অভিশপ্ত নিঃশ্বাস
ছুঁড়ে দেই হুংকার ছেড়ে মুঠো ভরা দ্রোহ
ছড়িয়ে দেই জমিনের বুকে।হৃদয়ের তাপমাত্রা
বাড়তে বাড়তে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, উত্তাল
দেহের রক্ত সাগর,শুন্যতার মাঝখানে মুত্যুর
পরেও নিঃশ্বাস বেঁচে থাকে জীবন্ত লাশে।