রতন দে,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল রাশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র মহসিন হত্যা মামলার আসামী র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করলেও কালকিনি থানা গ্রহন না করায় ছেরে দেয়া হয়ছে। এনিয়ে নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার বিকেলে এঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১৩জুন সকালে উপজেলার চরফতে বাহাদুর গ্রামের আঃ করিম মাতুব্বরের ছেলে শিকারমঙ্গল রাশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার আলিমের ছাত্র মহসিন মাতুব্বর(১৮)কে প্রতিবেশি কবির মাতুব্বরের ছেলে রাশেদ মাতুব্বর তার মামা বাড়ি পূর্ব শিকারমঙ্গল গ্রামে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে বাড়িতে খবরদেয় মাদ্রাসা ছাত্র মহসিন মাতুব্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে। নিহত মহসিন ও রাশেদের পরিবারে জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতা থাকায় নিহতের পরিবারের সন্দেহ হয় এবং তারা কালকিনি থানা পুলিশকে অবহতি করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করে এবং একটি অপমৃত্যুর মামলা নেয়। তবে ময়না তদন্তের রিপর্টে আসে মহসিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আর ময়না তদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কালকিনি থানা হত্যা মামলা রেকর্ড করলেও কোন আসামী গ্রেফতার না করায় নিহতের পরিবার র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের দারস্থ হয়। র্যাব সদস্যরা শনিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে আসামী দুদু মিয়া(৩৫)কে আটক করে কালকিনি থানায় সোপর্দ করতে চায়। কিন্তু থানা র্যাবের আটককৃত আসামী গ্রহন করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। পরে আসামী ছেরে দেয়া হয়। কিন্তু এঘটনা বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়লে নিহতের পরিবার ও সাধারন মানুষের মধ্যে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয় এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
এব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন ‘ প্রথমে অপমৃত্যু মামলা নেয়া হলেও পরে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে হত্যা মামলা নেয়া হয় ঠিকই তবে মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে। আর এখানে ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে ময়না তদন্তের কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমাদের তদন্তাধিন মামলার আসামীদের আটক করতে আমরা র্যাবের সহযোগিতাও চাইনি। তার পরেও তারা আটক করায় আমরা তা গ্রহন করিনি। আমরা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগত ব্যবস্থা নেব।’
এব্যাপারে র্যাব-৮ মাদারীপুর সদর ক্যাম্পের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ সম্ভাব হয়নি।