মোঃ আবদুল কাদের,দৈনিক বাংলার অধিকার,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তিনজন বোরকা পরা নারীকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকাবাসী। পরে ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে ধরে গণপিটুনি দেয় জনতা। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে মারা যান তিনি। গণপিটুনির সময় অন্য দুই নারী পালিয়ে যান।
এদিকে শনিবার সকালে এই ঘটনার পর নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৪নং সোনাপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়ীর তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। তিনি আসলে ছেলেধরা ছিলেন না। মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজ নিতে বাড্ডার ওই প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, মহাখালীর ৩৩/৩ জিপি ওর্য়ালেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার স্বামীর নাম তসলিম হোসেন। গত দুই বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকেই মহাখালীতে বসবাস করতে থাকেন রেনু।
ঘটনার পর ঢামেকে তাসলিমার লাশ নিয়ে যাওয়া হলে সনাক্ত করেন তার ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
তিনি জানান, সন্তানকে ভর্তি করাবেন বলে উত্তর বাড্ডার ওই স্কুলে গিয়েছিলেন তার ছোট খালা। সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকার লোকজন। পুলিশ প্রশাসন থাকতে কীভাবে একজন নিরপরাধ মানুষকে খুন হতে হয়? এ ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবি করেন তিনি।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী বলেন, নিহতের ভাগনে তার লাশ সনাক্ত করেছেন। এ ঘটনার একটি মামলা থানায় প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢামেকে রয়েছে।