নিজস্ব প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলার অধিকার।
ঘটননা সূত্রে জানা যায় চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের বানিয়াচোঁ গুচ্ছগ্রামের দুই সন্তানের জনক গাঁজাখোর এবং চিহ্নিত সন্ত্রাস কামাল হোসেনের সাথে একই বাড়ির এক সন্তানের জননী নাজমা বেগম বানিয়াচোঁ গ্রামের রফিকুল ইসলাম সওদাগরের ভাড়া বাসায় গত ০৪/০৭/১৯ ইং রাত অনুমান ১১ ঘটিকায় অবৈধ যৌনাচার অথ্যাৎ পরকিয়ারত অবস্থায় নাজমা বেগমের স্বামী আনিস ও নাজমা বেগমের বাবা বাবুল মিয়ার নিকট হাতেনাতে ধরা পড়ে।। এ সময় নাজমা বেগমের স্বামী আনিস এর ডাক চিৎকারে বানিয়াচোঁ গ্রামের লোকজনসহ নাজমার স্বামী ও পিতা গাঁজাখোর ও চিহ্নিত সন্ত্রাস লম্পট কামাল হোসেনকে মারধর করে বেঁধে রাখে।।
লম্পট কামাল হোসেনের মা, ভাই, বোন ও স্ত্রীর অনুরোধে বানিয়াচোঁ তালুকদার বাড়ির সামছুল আলম তালুকদার বিচারের আশ্বাস দিয়ে কামাল হোসেনকে তার জিম্মায় নিয়ে গেলেও এখনও উক্ত বিষয়ে রহস্যজনক ভাবে কোনো ধরনের সালিশ বিচার হয়নি।।
উক্ত নেক্কারজনক ঘটনা জানতে পেরে বাসার মালিক রফিকুল ইসলাম সওদাগর ও তার ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নাজমা বেগমকে জুতাপেটা করে ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেয়।।
উল্লেখ্য গুচ্ছগ্রামসহ বানিয়াচোঁ গ্রামের লোকজনের সাথে উক্ত বিষয়ে কথা বললে তাহারা জানান নাজমার বিয়ের আগেও লম্পট কামাল কয়েক বার নাজমা ও তার বোন জান্নাতকে ভয়,ভীতি দেখিয়ে ঢাকা পালিয়ে নিয়ে এমন কাজ করে ।। অথচ রহস্যময় ভাবে নাজমার বাবা আইনের আশ্রয় নেয়না। বানিয়াচোঁ গ্রামের লোকজন আরো বলেন কামাল ও তার ভাই জামাল চিহ্নিত সন্ত্রাস, কামাল রাতে গাঁজা খেয়ে মাতলামি করে এবং লম্পট কামাল হোসেন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা চেষ্টাসহ অনেক মামলা আছে। কয়েক দিন আগে এরা জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ যদি কোনো কথা বলে তবে তাহারা প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টা করে এবং ওরা পতিতা ব্যবসার সাথেও জড়িত আছে ।।
এদিকে ঘটনা বিষয়ে নাজমা বেগম ও তার বাবা বাবুল মিয়াসহ নাজমার স্বামী আনিস মিয়া এবং এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তাহারা লম্পট কামাল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।।
ভুক্তভোগী নাজমা বেগম জানান কামাল ইতিপূর্বে অবৈধ যৌনাচার কাজের কৌশলে ভিডিও করে রাখে যাহা নেটে ছেড়ে দিয়ে সংসার ভাংগিয়ে দিবার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে বার বার এমন কাজ করে যাচ্ছে।
সমাজে ন্যায় বিচার না পেলে নাজমার বাবা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে আমাদের জানান।