মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি –
উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বাড়ায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলার উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে ব্যাপকভাবে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা যমুনা নদীর পাড়ে মাটি ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ও বন্যা থেকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ভাঙনের কারণে গৃহহীন পরিবারগুলোর সহায়তায় এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
জানা যায়, যমুনার তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যেই উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও খানুরবাড়ী গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার বসতবাড়ি ও জমি-জমা হারিয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা ও নিকরাইল ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামে নতুন করে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি সহ বসতভিটা।
এদিকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ভাঙন কবলিত দেড় কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৭৫ মিটার এলাকায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
পাউবো কর্মকর্তাদের দাবি ভাঙন ঠেকাতে ছোট ছোট প্রকল্প পাশ করাতে হচ্ছে। কারণ বড় প্রকল্প দিলে সেগুলো পাশ হয় না। তাই কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের তিন গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। যারা বাড়ী ঘর হারিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি ও সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভূঞাপুর অংশে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ভাঙন কবলিত দেড় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৭৫ মিটারে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নতুন করে আরও ৭৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার প্রকল্প গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।