মো: আবদুল কাদের,দৈনিক বাংলার অধিকার,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে বীমা পলিসির মেয়াদ শেষে টাকা পেতে গ্রাহকদের হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর বিরুদ্ধে। চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে পার করছেন বছরের পর বছর। এতে করে চরম ভোগান্তিতে ভূগছেন গ্রাহকরা। কবে টাকা পাবে, সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। লক্ষ্মীপুরে বীমা কোম্পানীর গ্রাহক সংখ্যা প্রায়ই ১০ লাখ। জানা যায়, এক সাথে কিছু টাকা পাওয়ার আশায় খেয়ে না খেয়ে বায়রা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে বীমা করেছিলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বটতলী এলাকার ইসমাইল খাঁন। ২০০৫ সালে তিন লাখ টাকার চুক্তিতে বীমা করেন। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকা জমা করেন তিনি। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আড়াই বছর পার হলেও পাচ্ছে না বীমার টাকা। উল্টো টাকা পেতে পড়তে হয় সীমাহীন ভোগান্তিতে। এমনকি কোম্পানির টাকার মূল রসিদ দেয়ার পরও বছরের পর বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু টাকা মিলছেনা কোন ভাবেই। বীমা করে এক পর্যায়ে কোম্পানির কাছে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। একই অবস্থায় মান্দারী বাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনসহ অনেক গ্রাহকের। লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের এডভোকেট হাসিবুর রহমান জানান, গ্রাহকরা তাদের মেয়াদ শেষে টাকা না পাওয়ায় আদালতে আসছেন। বীমা পলিসির টাকা ফেরৎ পেতে কোম্পনাীকে আইনগত নোটিশ পাঠিয়ে কোন প্রতিকার পাননি গ্রাহকরা। উল্টো নানা হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। বীমা কোম্পনাীগুলো যদি আন্তরিক না হন। তাহলে এ শিল্পের প্রতি মানুষের যে আগ্রহ রয়েছে। সেটা ভবিষৎতে থাকবেনা। মানুষ যেভাবে বীমা কর্মীদের কাছে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে। টাকা দিয়েও টাকা পাচ্ছেনা। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তার ওপর দোষ না চাপিয়ে কোম্পনাীগুলো নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। অন্যথায় বীমা কোম্পনাীর ওপর থেকে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাই দ্রুত এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান এ আইনজীবি। কিছু কিছু কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট ও উদাসীনতাকে দায়ী করে প্রাগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের এজিএম সিরাজ উদ্দিন বলেন, এসব অনিয়মের কারনে মাঠে কাজ করতে গিয়ে গ্রাহকদের কাছে নিজেরাই নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়। সান ফ্লাওয়ার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী-লক্ষ্মীপুর সহাকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, যদি বীমা কোম্পানীর আইন অনুযায়ী পলিসি করে। তাহলে জিডিবির প্রবৃদ্ধি হার বেড়ে যাবে। যেসব কোম্পানীর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ, তাদের লাইসেন্স বাতিল করে এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার আহবান তার।