সাজিদ হাসান বাবু। জামালপুরের মাটিতে জন্ম। বেড়ে উঠা শহরের অন্যতম কেন্দ্রস্হল দেওয়ান পাড়া। সে জামালপুরের ধনাঢ্য ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের গর্বিত সন্তান।বাবু জামালপুরের স্বনামধন্য আইনজীবী ও সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের সাবেক ভিপি এড. রকিবুল হোসেনের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট।
স্কুল জীবন থেকেই বাবু ছিলো অত্যন্ত মেধাবী। সে জামালপুরের স্বনামধন্য জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং জামালপুরের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে মেধার স্বাক্ষর রেখে এইচএসসি পাশ করে।
অতঃপর সে প্রাচ্যের oxford খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রামী জীবন কাটে শহীদ জিয়া হলে। মেধা আর পরিশ্রম নজর কাড়ে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের। তাঁদের সংস্পর্শে সে হয়ে উঠে কর্মী বান্ধব দুঃসাহসিক এক ছাত্রনেতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ- সভাপতি নির্বাচিত হওয়া ছিলো তাঁর অন্যতম বড় প্রাপ্তি। তখন থেকেই সংগ্রাম আর সংগ্রাম করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে অদ্যবধি।
পারিবারিকভাবে সে ইচ্ছা করলে পারতো সুন্দর একটি উচ্চ বিলাসী উন্নত জীবন গড়তে কিন্তু সে শহীদ জিয়া এবং জিয়া পরিবারকে ভালোবেসে কলেজ জীবন থেকেই জড়িয়ে পড়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে। সততা, শ্রম, ত্যাগ ,সাহসী ,কর্মীবান্ধব আর আপোষহীনতা বাবুর অন্যতম বৈশিষ্ঠ।
আপোষহীন বৈশিষ্ঠের উদাহরন যদি বলি তাহলে স্মরণ করিয়ে দেই —জামালপুরের আরেক কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সন্মাণিত সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকি নাজমুল আলমের সময়ের কথা।
নাজমুল আলম আর সাজিদ হাসান বাবু দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু অথচ দুঃজনক হলেও সত্য তাঁর সময়েই বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নির্মভাবে বারবার আহত হয়েছে। ইচ্ছা করলে বাবু পারতো আপোষ করতে কিন্তু ভূলে গেলে চলবে না বাবু শহীদ জিয়া ও আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিক্ষীত সৈনিক। রাজপথে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে দুই দুইবার কারা নির্যাতন সহ্য করেছেন।
বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে প্রতিহিংসার কারনে মাস্টার্স পর্যন্ত শেষ করতে পারে নাই আর। আইন বিষয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত। তারেক রহমানের স্বপ্নের ছাত্রদল গড়তে বাবুকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে দেখতে চাই । সাজিদ হোসেন বাবু দলীয় বিধি, নীতিমালাতে এগিয়ে রয়েছেন।তবে কে হচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তা জানার জন্য ২৭ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।