মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া(চাঁদপুর)॥
চাঁদপুরের কচুয়ার চারটভাঙ্গা বাজার সংলগ্ন গাজী শফিকের দোকান হতে হয়ে প্রসন্নকাপ পর্যন্ত প্রায় ২ কি.মি. কাচাঁ রাস্তার কারনে ১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার লোকের চলাচল দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
প্রায় ২ যুগের ও কাছাকাছি সময় ধরে রাস্তাটি পাককরণ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমসহ অন্যান্য সময় একটু বৃষ্টি আসতে না আসতে স্কুল, কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের প্রায় কাঁদা ডিঙিয়ে সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে বলে দাবী করে এলাকার কয়েক শতাধিক মুসল্লী জুমার নামাজে শেষে বৈরী আবহাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপক্ষো করে ১২ জুলাই শুক্রবার আড়াইটা থেকে ৩ টা পর্যন্ত মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে এলাকার বাসিন্দা, চাঁদপুর জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী কামরুল হাসান জানান, উপজেলার চারটভাঙ্গা-প্রসন্নকাপ সড়কে ২০ বছর আগে কিছু অংশ পাকা হলেও কান্দিরপাড় অংশে ২কি.মি রাস্তা পাকাকরণ হয়নি। ফলে এলাকার সাধারন মানুষ অতি কষ্টে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম,মালামাল আনা নেয়া করতে হয়। বিশেষ করে এই এলাকাটি অত্যান্ত সীমান্তবর্তী এলাকা ও ঐতিহ্যবাহী ভোয়ালজুড়ি খাল সংলগ্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর কাছে রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ন।
স্থানীয় এলাকাবাসী দুলাল হোসেন, আবুল বাসার, আব্দুর রব, হাজী শামছুল হক ও শিক্ষার্থী শাহনেওয়াজ সহ আরো একাধিক লোকজন জানান, জনগণের ব্যাপক চলাচলের কারনে প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে প্রায় হাটু পর্যন্ত কাঁদা হয়ে থাকে। বর্তমানে রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা ও গর্ত থাকায় এবং পাকাকরণ না হওয়ার এর অবস্থা খুবই বিপদজনক। গত কয়েক বছরে পাশ্ববর্তী প্রসন্নকাপ উচ্চ বিদ্যালয়,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ,গুলবাহার আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজ,চারটভাঙ্গা বাজারে যাতায়াতের সময়ে শিক্ষার্থীসহ একাধিক লোকজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আর গর্ভবর্তী মায়েদের কষ্টের কথা বলেতো শেষ নেই। তারা বলেন ক্ষমতায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টি যায়, আওয়ামী লীগ বার বার আসে কিন্তু রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ কেউ নেয়নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পাকাকরনে দ্রুত এগিয়ে আসবেন এমনটাই দাবি করেন তারা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ মুঠোফোনে জানান, আমার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এই রাস্তাটি অধিক গুরুত্বপূর্ন। স্থানীয়রা রাস্তাটি পাককরণের জন্য জোড় দাবী জানিয়েছে। তবে রাস্তাটি এলজিইডির আওতায় হওয়ায় ক্ষুদ্র বরাদ্দ দিয়ে পাককরণ সম্ভব নয়। তাই এলজিইডি অধিদপ্তর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানাই।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণে নতুন অর্থ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাম দেয়া হবে।
ছবি : কচুয়ার কান্দিরপাড় কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা। পাশে রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।