মো: আ: হামিদ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি- দৈনিক বাংলার অধিকার:-
টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার পৌর এলাকা থেকে এক কেয়ারটেকারের ঝুলন্ত লাশ ও বাসাইল উপজেলার রাস্তার পাশ থেকে এক অটোভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌর এলাকার আকুরটাকুর পাড়া থেকে শামীম হোসেন (২৫) নামের এক কেয়ারটেকারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের সাবেক সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুল বাছিতের বাসার নিচতলায় এক্সরে রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শামীম মধুপুর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কাইদকাই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি আব্দুল বাছিতের বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন।
ডা: মোঃ আব্দুল বাছিত জানান, গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) থেকে শামীমকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বাসার নিচতলায় প্রচন্ড গন্ধ বের হলে কোথাও কোন ইদুর বা বিড়াল মরে রয়েছে কিনা অন্য কেয়ারটেকারদের খোঁজ নিতে বলেন। এসময় সায়েম নামের একজন বাসার নিচতলায় এক্সরে রুমের দরজা খুলতেই শামীমের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। পরে লোকজন এগিয়ে আসলে শামীমের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারন জানা যায়নি।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার আদাজান উত্তরপাড়া এলাকা থেকে জন মিয়া (৪০) নামের এক ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জন মিয়া দেলদুয়ার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুহিন আলী জানান, জন মিয়া বুধবার সকালে ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে তার স্বজনরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি শুরু করে।
এদিকে দুপুরে বাসাইল উপজেলার আদাজান উত্তরপাড়ায় রাস্তার পাশে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের ছেলে ও ভাই এসে তার লাশ সনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানায়, নিহতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে হত্যার পর লাশ এখানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ময়না তদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন পুলিশ।