দৈনিক বাংলার অধিকার ডেক্সঃ |
সোমবার বিকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এরশাদকে দেখে আসার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, এরশাদ ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছেন।
৯০ বছর বয়সী এরশাদ গত ২২ জুন থেকে সিএমএইচে ভর্তি; হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা তার আগেই ছিল, এখন ফুসফুসে সংক্রমণের সঙ্গে দেখা দিয়েছে কিডনির জটিলতা।
এরশাদের সরকারের মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মালেকের ছেলে জাহিদ মালেক বলেন, “ওনার অবস্থা ক্রিটিক্যালই বলা যায়। লাইফ সাপোর্টে আছে। ওভারঅল সিচুয়েশন ক্রিটিক্যাল।”
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, “ডাক্তাররা সকলেই মত দিয়েছেন, এ মুহূর্তে বাইরে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। এখন যত ধরনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, তা এখানেই দেওয়া সম্ভব। এখন বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।”
সিএমএইচে জাহিদ মালেকের সঙ্গে এরশাদের ভাই, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও উপস্থিত ছিলেন।
এরশাদকে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে’ রাখার কথা জাতীয় পার্টি এতদিন বলে এলেও সোমবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ কে এম মোস্তফার ফেইসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোস্তফা একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, “পল্লীবন্ধু এরশাদ স্যারের পাশে কোরআন তেলোয়াত করছেন স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ। আল্লাহ স্যারকে সুস্থ করে দেও।”
চিকিৎসাধীন এরশাদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে শনিবার পর্যন্ত জানিয়ে আসছিলেন জাতীয় পার্টির নেতারা। কিন্তু রোববার সকাল থেকে অবনতির দিকে যায়।
এরপর রাতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তা গুজব বলে উড়িয়ে দেন ভাই জি এম কাদের। ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার খবর সময়ে সময়ে সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের মৃত্যুর খবরগুলোকে ‘গুজব’ আখ্যা দিয়ে কেবল আইএসপিআরের ঘোষণার উপর নির্ভর করতে বলেন সাংবাদিকদের।
এরশাদের সার্বিক শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “সকাল পর্যন্ত উনার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে, অর্থাৎ অপরিবর্তিত আছে। ডাক্তারদের ভাষায় অপরিবর্তিত থাকা শুভ লক্ষণ। উনারা শঙ্কা করেছিলেন যে অবস্থার অবনতি হতে পারে। তা যেহেতু হয়নি, স্থিতিশীল আছে।
“গতকাল (রোববার) উনার লাংসের ইনফেকশান বেড়েছিল, সেটা কমের দিকে। গতকাল যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আন্ডার প্রেসার অক্সিজেন দিতে হত। এখন দুই ঘণ্টা আন্ডার প্রেসার, দুই ঘণ্টা নরমাল অক্সিজেন দিচ্ছেন। এই ধরনের ট্রেন্ড চালু থাকলে নরমাল অক্সিজেন দেওয়া হবে। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে অক্সিজেন সরিয়ে নেওয়া হবে।”
এরশাদের সংক্রমণ কিডনিতেও ছড়ানোর কথা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, “উনার কিডনিতে ইনফেকশান একটু বেড়েছে। ডাক্তাররা এখন সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন। তবে উনি শঙ্কামুক্ত নন। আমরা আশাবাদী উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
সকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এরশাদকে দেখে আসেন।
|