সোহেল চৌধুরী রানা, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ উৎপাদন খরচ কম ও বিক্রয় মূল্য ভালো পাওয়ায় ধানের পাশাপাশি পাট চাষে লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
দেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল সোনালী আঁশ হিসেবে খ্যাত পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন নওগাঁ রাণীনগরে কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের পাশাপাশি কয়েকটি ইউনিয়নের মাঠে এখন পাট গাছের সবুজ ডানা মেলেছে।
কৃষকরা আশা করছেন ভালো বাজার দর পেলে আগামীতে পাট চাষের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাবে।
বিগত কয়েক বছরসহ চলতি বছরে ধানের বাজার দর পতনের কারণে কৃষকরা খুব একটা স্বস্তিতে নেই।
তাই সহজলভ্য চাষ হিসেবে রাণীনগরের কৃষকরা দিনদিন পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাণীনগর উপজেলায় এবার ভালো পাট চাষ হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে মেস্তা, দেশী ও তোষা জাতের পাট প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।
প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৫ মন পর্যন্ত পাট উৎপাদন হয়। গত বছর উপজেলার কৃষকরা প্রতি মণ কাঁচা পাট ১৭ শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচা-কেনা করেন।
বিগত বছরে পাটের ভালো ফলন ও দাম আশানুরুপ পাওয়ায় এলাকার চাষীরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পাট চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের পাট চাষি মো. মিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি নিজের জমিতে বোরো ধানের চাষ করতেন। কিন্তু ধানের জমি কিছুটা কমিয়ে পাট চাষের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন তিনি। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিগত বছর গুলোতে পাটের বাজার মন্দ থাকায় এ ফসলের প্রতি চাষিদের আগ্রহ কমে গিয়েছিল।
বর্তমান সরকার খাদ্য দ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যে পরিবেশ বান্ধব পাটের মোড়ক ব্যবহার করায় বর্তমানে পাটের উৎপাদন ও বাজার দর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
প্রান্তিক পর্যায়ে চাষিদের পাট চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে রোগ প্রতিরোধ সর্ম্পকে কৃষকদের গঠনমূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ফসলে এমনিতেই তেমন কোনো রোগ-বালাই আক্রান্ত হয় না।
দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা দিনদিন পাট চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।