বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যখন সরকারি ১০০ টাকা ফি তে পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুট করা হবে এই মর্মে লিফলেট স্টিকার সহ প্রচারণা চালানো হয়েছিল ঠিক সেই মুহুর্তে কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত প্রতারক আহসানুল কবির, পাবনা জেলার সদরের চকপৈলানপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত সামছুদ্দিনের পুত্র । বর্তমানে তিনি বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনি এলাকা ভাড়াবাসায় থাকেন।
অভিযোগে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধোরে আটক আহসানুল কবির রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের একজন উর্ধতন অফিসারের নাম ভাংগিয়ে শহরের পুলিশ লাইন্সএলাকার সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বায়েজিদ নামের এক ছাত্রকে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেবার প্রলোভন দেন। তার এই প্রতারনার অংশ হিসাবে কয়েকদিন আগে বিশ্বাস অর্জনের জন্য বায়েজিদকে সঙ্গে নিয়ে শহরের উপশহর এলাকার পশ্চিমাঞ্চলিয় হাইওয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে নিয়ে যান আহসানুল কবির। এসময় তিনি সাথে নিয়ে যাওয়া বায়েজিদকে বাইরে রেখে তিনি হাইওয়ে পু্লেিশর একজন উর্ধতন অফিসারের রুমে প্রবেশ করেন। এর পর কিছু সময় পর সেখান থেকে বের হয়ে বায়েজিদকে জানান,মোটামুটি আলোচনা হয়েছে অগ্রিম দিতে হবে। তখন সে তিন লাখ টাকা অগ্রিম দেবার কথা বাইজিদকে বলেন । পরে বায়েজিদ বিষয়টি তার পরিবারকে ও নিকট আত্বিয়দের জানায় । এতে তাদের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।
এদিকে, আহসানুল কবির গ্রেফতারের খবর জানাজানি হলে কাহালু থানার কোহালী গ্রামের মশিউর রহমান নামের এক ব্যাক্তি থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন যে,তার ভাতিজা আসিফ খানকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আহসানুল কবির ৬ লাখ টাকা দাবী করে। তার কথায় বিশ্বাস করে আসিফ খানের পরিবার গত মঙ্গলবার শহরের সপ্তপদী মার্কেটের সামনে ৯২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।এদিকে ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (সার্বিক) এসএম বদিউজ্জামান এর কঠোর নির্দেশে থানার এসআই সূমন বুধবার দুপুরে প্রতারক আহসানুল কবিরকে শহর থেকে গ্রেপ্তার করে ।
এদিকে গ্রেফতারকৃত আহসানুল কবির সাংবাদিকদের জানান, তিনি দীর্ঘ দিন কাতারে ছিলেন , আবারো বিদেশে চলে যাবেন। তিনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা গ্রহণ করেননি। তবে বায়েজিদের ব্যাপারে সুপারিশ করতে নয় তিনি হাইওয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাত করে ছিলেন একটি আটক অটো ছাড়িয়ে নিতে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি সার্বিক ) এসএম বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, পাতা ফাঁদে পুলিশ সক্রিয়ছিল বিধায় বায়েজিদের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তিনি নিশ্চিত করে করে বলেন, কাহালু উপজেলার কোহালী গ্রামের মশিউর রহমান বাদী হয়ে আহসানুল কবিরের নামে একটি মামলা করেছেন।’