কচুয়া (চাঁদপুর)প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক যুবতী স্কুল ছাত্রীকে ও তার অসহায় বাবাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হামলার স্বীকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।
থানায় অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আচার বিক্রেতা মো: এমরান হোসেন গাজীর রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়–য়া অষ্টম শ্রেণী মেয়ে সোমবার সকালে বিদ্যালয় যাওয়ার সময় একই গ্রামের বখাটে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনছার আলী তাকে গতিরোধ করে অশ্লীল কথা বলে। এতে বাঁধা দেওয়ায় ওই ছাত্রীকে বখাটে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনছার আলী চর থাপ্পর মারে। এসময় ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টি অবগত করলে তার বাবা এমরান হোসেন আনোয়ার হোসেনের কাছে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে এতে উত্তেজিত হয়ে এমরানের পেটে ও বাম হাতে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাতĄক রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে এমরান হোসেনকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আনোয়ার হোসেন ইতিপূর্বে ওই ছাত্রীকে বেশ কয়েকবার কারনে অকারনে মারধর করেছে। তার ভয়ে ওই ছাত্রীর অসহায় পরিবার কিংবা এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খোলেনি। যে প্রতিবাদ করে তাকে হামলা মামলা ও প্রান নাশের হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে এবং বর্তমানে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে মারধর করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এদিকে রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী ও তার অসহায় বাবাকে মারধরে ঘটনায় হামলাকারী আনোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও ইকবাল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে কচুয়া থানার এসআই বাহাউল আলম বলেন, স্কুল ছাত্রীর পক্ষে প্রথমে ইউএনও মহোদয়ের নিকট অভিযোগ দায়ের করে। পরে থানায় অভিযোগ করলে আমি বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করি। স্কুল ছাত্রীর বাবা মারধরের স্বীকার এবং আনোয়ার গাজী ও হামলার স্বীকার হয়েছে।
কচুয়া : মেয়ের উপর হামলার প্রতিবাদ করায় বখাটের হামলায় আহত এমরান হোসেন গাজী।