|| ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১৩ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
অসামাজিক কার্যকালাপে বাধা দেওয়ায় কাতার প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম
প্রকাশের তারিখঃ ৮ জুন, ২০২৫
শামীম আহমেদ জয় :
মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন মান্দারতলী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক প্রধানের ছেলে রফিক একজন কাতার প্রবাসী। প্রবাসী রফিক জানান, আমি কাতারে থাকাকালিন জানতে পারি আমার পাশের বাড়ী তাছলিমা ও তার মেয়ে ফেইসবুকে পরিচয় এবং অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং বাড়ীতে এনে সেই ছেলেকে রাখেন। পরে আমি বাড়ীতে এসে তার এই অসামাজিক কার্যকালাপের প্রমান পাই। পরে এই কথা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় আমার চাচাতো নাতিকে বেধরক মারধোর করে এবং কুপিয়ে জখম করে এমন অবস্থা দেখে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে তাসলিমা আমার মাথায় পিঠে লাঠী দিয়ে আঘাত করে। এবং ওয়াসকুরুনী আমার মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে আমার সাথে থাকা কুরবানীর ১৫০.০০০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এবং তাদের সাথে আরো ৭-৮ জন ছিলো এর মধ্যে নুরুল ইসলাম কবিরাজ, মমিন, ইয়াসিন প্রধান, দুলাল প্রধান, লিপি বেগম, নুরু পাটোয়ারী সহ আরো কয়েকজন আমাকে বেধরক মারধোর করে। আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে আমি বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত তাসলিমা বেগমের মা মতমাজ বেগম (৫০) বলেন, আমার মেয়ে তাসলিমা পরপুরুষ নিয়ে আমার বাড়ীতে থাকে আমি একাধিক বার বাধা দেওয়াতে আমাকে বাড়ীতে বের করে দেয়, আমি একজন মা আমি আমার মেয়ের পরিচয় দিতে এখন আমার ঘৃণ্য লাগে। আমি কয়েকবার গাজার পোটলা ফেলে দিয়েছি কেনো ফেলে দিলাম এই কারনে আমাকে বাড়ীতে থাকতে দেয়না। আমি অসজা বৃদ্ধা মানুঢ্ষ আমি আরেক মেয়ের বাড়ীতে উঠেছিলাম সেখানে গিয়েও আমাকে পিটিয়ে এবং আমার ঐ মেয়েকে শাসিয়ে দিয়ে আসছে। আমি এই অবিচারের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এই ঘটনার পরে প্রবাসী রফিকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হক জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.