|| ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২রা জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
অভয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ও শতমুখী পরিবেশ কল্যাণ কেন্দ্রের শিশুসদনে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান এবং অভয়ার নামে হাসপাতাল তৈরি পরিকল্পনা
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ মে, ২০২৫
*বাইজিদ মন্ডল ডায়মন্ড হারবার*
অভায়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ও শতমুখী পরিবেশ কল্যাণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় প্রত্যন্ত গ্রামে কাশিনগর শিশুসদনে এলাকার পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ অসহায়দের মাঝে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য চিকিৎসা পরিষেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান পরিষেবার আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি অভয়া মঞ্চ,মহারাজ স্বামী রাজেশ্বরানন্দ কে এম হাতিবাগান, বীজেন্দ্র বৈদ্য অভয়া ফাইটার, ডা: আসফাকুল্লা নাইয়া (WBIDF), ডা: তমনেস চৌধুরী অভয়া মঞ্চ, ডা: শতাব্দী মিত্র অভয়া মঞ্চ,অভিজিৎ সেন(WBIDF), ডা: সমীর সরকার(ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল), দেবজ্যোতি দাশগুপ্ত,চন্দনা বৈদ্য,অভিজিৎ,তাপস,পিয়ালি কয়েল অভয়া ফাইটার,এছাড়াও অভয়া (ডা: মৌমিতা দেবনাথ) র বাবা, মা ও এই আন্দোলনের আরো অন্যান্য সকল সদস্য বৃন্দ প্রমুখ। সূত্রে খবর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে জুনিয়র ডাক্তাররা 'অভয়া ক্লিনিক' নামে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করছেন, যা মূলত তাদের প্রতিবাদ আন্দোলনের অংশ। এই ক্লিনিকগুলিতে, রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা,ওষুধ এবং পরামর্শ পেতে পারেন। বিশেষ করে বন্যা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, এই পরিষেবাগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্তৃত। যা রোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুনন্দন এ এলাকার দুঃস্থ অসহায়দের সুবিধার্থে একটা অভয়ার নামে (স্বাস্থ্য কেন্দ্র) হাসপাতাল তৈরি করার মতো প্রকাশ করেন অভয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে।এই স্বাস্থ্য শিবিরে অভয়া (ডা: মৌমিতা দেবনাথ) র বাবা ও মা উপস্থিত হয়ে ছিলেন। তার মা জানান আমার মেয়ে যখন কথা বলতে শিখেছিল সেই তখন ছোট থেকে তার সবথেকে বড় স্বপ্ন ছিল সে ডাক্তার হবে,একজন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। আমরা তার সেই স্বপ্ন টাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আর সেই স্বপ্নটা শেষের মুখে হঠাৎ কিছু দুষ্কৃতী তার এবং আমাদের সেই স্বপ্ন টাকে কেড়ে নিয়ে শেষ করে দিলো। আমার মেয়ের হত্যাকারি এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সবার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই। আমাদের বাড়িতে তার পরিশ্রমের যত জিনিস ও দরকারি কাগজ পত্র এবং তার হাতে সাজানো ফুলের বাগান পরে আছে,শুধু মাত্র আমার সেই মেয়ে টা নেই বলে কেঁদে ফেললেন তার মা। ডাক্তারদের তাদের দাবি দশ মাস হয়েগেছে অভয়ার সঠিক বিচার পেলাম না,যতদিন পর্যন্ত আমরা পাবো ততদিন এর আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করে যাব।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.