|| ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
পিতার কাঁধে প্রবাসী হাসানের মৃতদেহ ২৮ দিন পর দেশে পৌঁছেছেন
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ মে, ২০২৫
সনজিত কুমার শীল।
আরব আমিরাত।
একজন প্রবাসী তার কত আশা নিয়ে প্রবাসে আসেন তাই জানেন অন্য এক প্রবাসী। বিগত চার বছর পূর্বে মোঃ হাসান সংযুক্ত আরব আমিরাত আসেন। প্রবাসে থাকা পিতা মোঃ সেলিম ভিজিট ভিসা নিয়ে এই প্রবাসে নিয়ে এসেছিলেন। দু'বছর পূর্বে দেশে ছুটিতে গিয়ে কিছুদিন ছুটি কেটে আসেন। তিনি আবুধাবির বিদা যায়েদ এলাকার একটি গ্রুপ অব কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ মার্চ ২০২৫ বিকেলে ডিউটি সেরে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই গাড়িতে পাঁচজনই আহত হন। একই গাড়িতে পাঁচজনের মধ্যে ড্রাইভার ছিলেন মিশরের, দুজন বাংলাদেশি, একজন নেপাল অন্যজন পাকিস্তানের। খবরা খবর নিয়ে জানা যায় ডিউটি সেরে বাসায় আসার পথে ডাইভারের চোখে ঘুম এসে যায়। হঠাৎ গাড়ি দুমড়ে মুছরে গেলে সবাই আহত হন। ঘটনাটি ঘটে গিয়াতি -সিলা রোডে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিহত হাসানের বাবা মোঃ সেলিম আছরের নামাজ পড়তে গেলে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার খবর শোনেন।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা পর গত ২০ শে এপ্রিল মোঃ হাসান(২২) মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে প্রবাসী বাবা, দেশে মা দুই বোন ও এক ভাই সহ অনেক আত্মীয়স্বজন রেখে যান। তার মৃত্যুতে কর্মরত কোম্পানি তার আর্থিক পাওনা দাওনা পরিশোধ করেন বলেন জানান নিহত হাসানের বাবা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ ১৮ই মে দীর্ঘ ২৮ দিন পর তার মৃতদেহ ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছেছেন। বর্তমানে ঈদের সময়ে বিমানের টিকেট সংকটের কারণে মৃতদেহ এবং যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। আবুধাবিতে বিমানের টিকেট না পাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত দুবাই হয়ে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা পর্যন্ত মোঃ হাসানের মৃতদেহ পাঠানোর হয়েছে।
মোঃ হাসানের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ রসুলপুর গ্রামে। এই মৃতদেহ পাঠানোর পিছনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ বিমানের সহযোগিতা ছিল অনন্যা ভূমিকা।
দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের অনেক অভিযোগ বিশেষ করে আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম- ঢাকা বড় ফ্লাইট না থাকার কারণে যাত্রীরা অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই দীর্ঘদিনের দাবি প্রবাসীদের - অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের প্রতি প্রবাসীদের জন্য বড় ফ্লাইটগুলো যাতে আবুধাবি থেকে দেওয়া হয়।।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.