|| ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ১২ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
বছরেও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণ, নেই কাজের অগ্রগতি! কচুয়ায় রাস্তা খুঁড়ে বালু ফেলায় চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
প্রকাশের তারিখঃ ৬ এপ্রিল, ২০২৫
শান্তুু ধর, কচুয়া প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা কান্দিরপাড় ও প্রসন্নকাপ সড়কে কাচাঁ রাস্তায় খুড়ে বালু ফেলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। নেই কোনো কাজের অগ্রগতি। এতে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ এখন পড়েছে চরম দুর্ভোগে। প্রসন্নকাপ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করে অল্প কিছু কিছু জায়গায় বালু ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় বছর খানেক বেশি সময় ধরে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে সড়ক এভাবে ফেলে রাখায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঐ গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা এলজিইডি’র আওয়তায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ওই গ্রামের গ্রামীণ এই কাঁচা সড়কটি পাকাকরণ করার জন্য খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদার। রাস্তা খোঁড়ার ফলে কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারছে না এতে চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষসহ কোমল মতি শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ কামরুল হাসান,মাসুদ রানা,শাহজাহান জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে এ এলাকায় সড়কে তেমন কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বরং কয়েক বার কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও কোনো কাজ হয়নি। কাঁচা রাস্তাটি পাককারনের উদ্যোগ গ্রহন করেন এলজিইডি। দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটিতে কাজ শুরু করে রাস্তা খুঁড়ে রেখেছেন ঠিকাদার। কাজ শেষ তো দূরের কথা তাকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তার বেড কেটে রাখায় বালু ফেলায় চরম ভোগান্তি হচ্ছে গ্রামবাসীর। এ সড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ইউনুছ বিএসসি মুঠোফোনে বলেন, কাঁচা রাস্তার কাজের একটু বিলম্বিত হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তিনি কাজ শুরু করবেন বলে জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, মানুষের ভোগান্তি দেখলে আমাদেরও কষ্ট লাগে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
ছবি: কচুয়ার প্রসন্নকাপ-কান্দিরপাড় গ্রামে কাঁচা রাস্তায় দু’পাশের মাটি খুড়ে বালু ফেলায় চরম ভোগান্তি।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.