|| ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
পটুয়াখালী বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে ও তার ৩ দোসর নানা দূর্নীতিতে জড়িয়েও বহাল তবিয়তে
প্রকাশের তারিখঃ ১১ মার্চ, ২০২৫
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
আরসি ফুড ও ডিসি ফুডের আর্শীবাদ পুষ্ট বিতর্কিত বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে'র ক্ষমতার উৎস নিয়ে নানা মহলে গুনজন চলছে। জানা গেছে, শশী ভুষনে চাকুরীর সুবাদে চাল কেলেংকারীতে জড়ান বাউফলের এ খাদ্য উপজেলা নিয়ন্ত্রক। যাহা পড়ে বিভিন্ন বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে প্রচারিত হয়। তবুও তাহার বিরুদ্ধে বিন্দু মাত্র অফিশিয়াল তদন্ত কিংবা শাস্তি হয়নি।
এরপর তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফলে উক্ত পদে বদলী হয়ে এসে সাড়ে ৩ বছর অতিক্রম করে যাচ্ছেন এবং অনিয়ম দূর্নীতি করে আঙ্গুল ফুলে বট গাছ হয়েছেন। এর মধ্যে মাঝ খানে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় একই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।এছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরে দুমকী উপজেলায় স্বপদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার করা অনিয়ম দূর্নীতির মধ্যে রয়েছে পুরাতন ও ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পড়ে নতুন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ দিয়ে ২১ জনের কাছ থেকে মাথা পিছু নিয়ম বর্হিভূত ৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং তাদের কে অদ্য বধি ডিলার নিয়োগের ও ফুড গ্রেন্ড লাইন্স না দেয়া।
আবার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর পুরাতন ২০ জন কে পুনরায় বহাল রাখার শর্তে তাদের থেকে মাথা পিছু ১০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিতে তার দু'জন লোকদারা তাদের কে মুঠোফোনে অফিসে এনে এ বিষয় চুড়ান্ত কথা বার্তা সেরে ফলা হয় ইতিমধ্যে। এর এক পর্যায়ে পুরাতন ডিলার বহাল রেখে তাদের থেকে মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর টি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কানে গেলে এ খাদ্য কর্মকর্তা তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর পুরাতন ২০ জন ডিলার চলতি মাসে চাল উত্তোলন করার পরে তাদের বিক্রি কেন্দ্রে গিয়ে উক্ত খাদ্য কর্মকর্তা এ সকল ডিলারদের থেকে মাথা পিছু ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে রাতে দিব্বি ভালো ঘুম ঘুমাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে এ খাদ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী কাম বাউফল খাদ্য অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি সওদাগর কে দিয়ে তিনি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর সুবিধা ভুগীদের ও ওএমএস এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলারদের কাছ থেকে কার্ড ও ডিউর নামে নানা সময় অর্থ হাতিয়ে নেয়া। এদিকে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে নিয়ম বর্হিভূত বগা গোডাউনের স্টাফ রেজাউল ও কালাইয়া গোডাউনের স্টাফ রেজাউল কে তার অফিসে বসিয়ে তাদের মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ও ওএমএস ডিলার এবং মৎস্য ভিজিএফ ও ভি ডাব্লিউ ভি'র এবং টিসিবির চালের ডিউর বানিজ্যে করাচ্ছেন দেদারসে।
এ যেন দেখার কেউ নেই। এবিষয় জানতে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর ব্যক্তিগত সহকারী কাম উক্ত অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনির মুঠোফোন একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উক্ত ব্যাপারে জানতে বগা গোডাউনের স্টাফ রেজাউল এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, যাহা কিছু জানতে ও বক্তব্য পেতে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ব্যাপারে জানতে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে'র মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, বাউফলে সাংবাদিকরা আছেন, বরিশাল - পটুয়াখালীর সাংবাদিকরা ফোন দিয়ে তথ্য জানতে চাওয়া কিংবা বক্তব্য চাওয়ার কোন ও মানে আছে।
এই বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উক্ত বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, এ পর্যন্ত কেউ বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর ভালো মন্দের ব্যাপারে মৌখিক বা লিখিত আকারে তাকে যানায়নি।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.