|| ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
কুলিয়ারচরে হামলায় আহত দলীয় নেতাকে দেখতে হাসপাতালে শরীফুল আলম
প্রকাশের তারিখঃ ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও উছমানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মামুনকে দেখতে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান কুলিয়ারচরের কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম সিআইপি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে চিকিৎসাধীন মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের শরীরের খোঁজ খবর নেন তিনি।
জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গত ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমান মামুন প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। মামুন উছমানপুর গ্রামের মো. মেনু মিয়ার ছেলে।
মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের উপর প্রকাশ্যে হামলা ও মারধোরের ভিডিও তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে এলাকার বিক্ষোব্ধ জনতা ওইদিন বিকালে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহরাফ মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাইয় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ আহত সোহরাফ মিয়াকে তাদের হেফাজতে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে ওইদিন রাতে আহত মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বাদী হয়ে জনতার হাতে আটককৃত একই গ্রামের সোহরাফ মিয়া (৩২)কে প্রধান আসামি করে সোহাগ মিয়া (৩৫), আবুল কাশেম (৫৮), আলী আজগর (৪৫), মো. সোহাগ মিয়া (৪৫), মো. কায়কোবাদ (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৫০), পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের ইমন মিয়া (২৫) ও পীরপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়া (৩২)দের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩।
মামলায় উল্লেখ করা হয় প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। মাদক বিক্রয় করতে তাদের বাধা নিষেধ দিলে প্রতিপক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের হিসেবে গত ৭ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা, রড, হকিস্টিক ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রাদি নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে ও মারধোর করে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম করে। এ সময় তার ভাই এর স্ত্রী হেপি আক্তার তাকে উদ্ধার করতে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন হেপি আক্তারের চুলে ও কাপড়ে ধরে টানা হেছড়া করে বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং হেপি আক্তারের গলায় থাকা দেড় ভড়ি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনাইয়া নিয়া যায়। এছাড়া হেপি আক্তারকেও মারধোর করে তারা।
এসময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাত থেকে আহত মোস্তাফিজুর রহমান মামুনকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকৎসাধীণ রয়েছে।
অপর দিকে অভিযুক্ত সোহরাফ মিয়া চিকিৎসা নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেন পুলিশ।
এব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, গ্রেফতারকৃত সোহরাফ মিয়া মাদক ও চুরি সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও চুরির ঘটনার সাথে জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের সার্থে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছেনা। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.