|| ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
আমিরাতে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন।
প্রকাশের তারিখঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
সনজিত কুমার শীল,সংযুক্ত আরব আমিরাত
বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি ও দুবাই কনসূলেট উৎসবমুখর পরিবেশে যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনসূলেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিশনের সকল কর্মকর্তার-কর্মচারীসহ বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষকও শিক্ষার্থীগণ, জনতা ব্যাংক লি:, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশের বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সূচনাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত করার মধ্য দিয়ে দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভার সূচনা করা হয়। এরপর, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে, উপস্থিত বিভিন্নসংগঠন ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন। তারা সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান এবং সকল ধরণের শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থানথেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান।
মান্যবর চ্যার্জ-দ্য-আফেয়ার্স, ৭১ এর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং ২৪ এর জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জিত হয় মহানমুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়, বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি প্রত্যাশা করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশীগণ তাদের অর্জিতজ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন। ২৪ এর শহীদদের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমও উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকলশহিদ এবং ২৪ এর জুলাই- আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ ইসলামী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা করে।পরিশেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মান্যবর চ্যার্জ-দ্য-আফেয়ার্স অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.