|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালীতে একক সিদ্ধান্তে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ২৮ জন নতুন ডিলার নিয়োগ : চাল বিতরণে অনিয়ম দূর্নীতি
প্রকাশের তারিখঃ ৪ নভেম্বর, ২০২৪
সুভাস দাস,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
গত সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ায় তার দলের কর্মী, সমর্থক এবং পদদারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলারগন গা ঢাকা দিয়েছেন রাঙ্গাবালীতে। সুত্রে জানা গেছে, এতে রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার সংকট সৃষ্টি হয়।এতে উক্ত উপজেলা প্রশাসন এবং খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য নিয়ন্ত্রণক বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে থেকে ২৮ জন নতুন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। পরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এর দু' মাসের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল সুবিধা ভোগীদের মাঝে অনিয়ম করে বিতরণ করা হয়। অনিয়মের মধ্যে হলে প্রত্যেক সুবিধা ভুগী মাস প্রতি মাথা পিছু ৩০ কেজি করে দু'মাসে ৬০ কেজি চাল নিয়ম অনুযায়ী পাবার কথা থাকলে নানা ইউনিয়নের কেউ পেয়েছেন ২০,২৫,৩০ ও সর্বোচ্চ ৪০ কেজি করে।অন্যদিকে আবার কোনও কোনও ইউনিয়নের কয়েক সুবিধা ভুগীকে নব্য ডিলার গন ফিরিয়ে দিয়েছেন চাল নেই বলে।
এ যেন দেখার কেউ নেই। এছাড়াও একই উপজেলায় টিসিবির পন্য ( তেল চাল, আটা চিনি)'র মধ্যে অক্টোবর মাসে বিতরণ কালে চাল দেয়নি ডিলার সুবিধা ভুগীদের।আর চিনি এ বর্তমানে সরবরাহ নেই। সুত্রে আরও জানা গেছে, সারা বাংলাদেশে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নতুন নিয়োগের সার্কুলার চলতি অর্থ বছরের ডিসেম্বরে আসার জোরালো সম্ভবনা রয়েছে।
তদুপরি পুরাতন পরিপত্রে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ এবং ডিলার শুন্য হলে কোন প্রক্রিয়ায় শুন্য পদে নতুন ডিলার নিয়োগ করা হবে তা রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।সুত্রে আরও জানা গেছে, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে উক্ত উপজেলার প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে অগচোরে রেখেই নতুন ২৮ জন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ দিয়ে তাদের আশা পুরন করেছেন বলে জানা গেছে। আর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে সর্বশেষ টিসিবির পন্য বিতরণ কালে চাল বিতরণ না করার সুরাহা হয়নি ফলে সুবিধা ভুগীরা মাথা পিছু ৫ কেজি করে১৫ টাকা ধরে ন্যায্য মূল্যেয় চাল কেনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এব্যাপারে জানতে রাঙ্গাবালী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক ( ভারপ্রাপ্ত) এর মুঠোফোনে কয়েক বার কল দিলেও তিনি ফোন কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।
বিষয় মুঠোফোনে জানতে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও প্রতিবারই তার ফোন কল ব্যাস্ত পাওয়া যায়।
এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত: রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়ন। আর এ উপজেলার সকল ইউনিয়নেই কম বেশী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিতরণে নয় ছয় হয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও বর্তমানে আত্নগোপনে থাকা আগের ডিলার গন ও উক্ত চাল বিতরণে অনিয়ম দূর্নীতি করতে কম যায়নি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.