|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পাঁচবিবিতে শৃগালের কামড়ে আহত-১৫’জন
প্রকাশের তারিখঃ ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
পাঁচবিবিতে শৃগালের কামড়ে আহত-১৫’জন
সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর ও চকশিমুলীয়া গ্রামের ছোটবড় নারী-পুরুষ ১৫’জন শিয়ালের কামড়ে গুরত্বর আহত হয়েছে। আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক সরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। শিয়ালের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী লাঠি হাতে দলবেঁেধ ঝোঁপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা শিয়াল তাড়া করছেন। শিয়ালের অত্যাচারে মাঠে কাজ করতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। একারনে অনেকেই আবার দেশীয় অস্ত্র সহ মাঠে কাজ করছেন। গত সোমবার ও মঙ্গলবার ২’দিনে মাঠে ও বাড়ির সামনে ১৫’জনকে শিয়ালে কামড় দিয়েছে। অপরদিকে চকশিমুলীয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের ২’টি ছাগলের কান কামড়ে ছিড়ে নিয়েছে শিয়াল। রতনপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের মোঃ শামিম হোসেন বলেন, দিনের বেলা বাড়ির সামনে আমার ছোট্ট ছেলে নূর-আলিফ (৩) খেলা করছিল পাশেই তার মা কাজ করছিল। একটি বড় শিয়াল ছুটে এসে ছেলের ডানায় কামড় দিয়ে দ্রæত জঙ্গলের ভিতর চলে যায়। একই এলাকার আকবর হোসেনের স্ত্রী রেজিয়া বিবি (৫০) বলেন, বিকালে বাড়ির সামনে উঠান পরিস্কার করছিলাম বড় একটা শিয়াল আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি শিয়ালকে চলে যেতে বললাম কিন্ত না গিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আমার চোখে-মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। আমি মাটিতে পরে যাই শুধু ছেলের বৌকে চিৎকার করে বলি আমাকে বাঁচাও আর কিছু বলতে পারিনা। চকশিমুলীয়া গ্রামের মহসিনের ছেলে রতন বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমি সহ ৫’জন ক্ষেত থেকে শষা তুলছিলাম হঠাৎ পিছন থেকে শিয়াল এসে আমার পিঠে কামড় দিয়ে খুব দ্রæত চলে যায়। রতনপুর (নদীরধার) গ্রামের আতিক হোসেন জুয়েল বলেন, ২’দিনে আমাদের এলাকার প্রায় ১৫-২০ জনকে শিয়াল কামড় দিয়ে আহত করেছে। শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমরা সবাই মিলে লাঠি হাতে শিয়াল তাড়া করছি। পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ সামছুজ্জোহা বলেন, শিয়াল, কুকুর বা বিড়াল কামড় অথবা হাঁছড়ে দিলে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এমন ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা হলো প্রথমেই ক্ষতস্থান সাবান ও পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করতে হবে। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন গ্রহন করতে হবে বলেও জানান এ ডাক্তার সাহেব।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.