|| ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
হঠাৎ কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে মতলব উত্তরের ফসলি মাঠ ও জনপদ
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
মো: আতাউর রহমান ( মতলব উত্তর প্রতিনিধি) :
হঠাৎ করে ভোরের কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পথঘাট ও ফসলের মাঠ। মনে হচ্ছে এ যেন পৌষের আগমন! শরতের শেষ দিকে এসে ঘন কুয়াশায় এভাবেই ঢাকা পড়েছে পুরো উপজেলা।
বার্তা দিচ্ছে শীতের আগমনের।
দূর্বাঘাসে কিংবা গাছের কচিপাতায়ও মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে পড়েছে ভোরের শিশির।
অথচ ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ বাংলা মাসের ২৯ আশ্বিন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরের আলো ফোটার আগেই চারপাশে হঠাৎ বাড়তে শুরু করে কুয়াশা।
ঢেকে যায় রাস্তাঘাট, ফসলি জমির মাঠ। ইদানীং রাতের শেষ প্রহরে মৃদু শীত আর দিনে ও রাতের প্রথমভাগে গরম পড়ছে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। সকালে কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে বের হয়েছেন কেউ কেউ। শ্রমজীবীদের অনেকেই আবার ছুটছেন কাজের খোঁজে। শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলের উদ্দেশে, আবার কেউ বের হয়েছেন প্রাইভেট পড়তে। গাছের পাতা, সবুজ ধানের ক্ষেত আর ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু জমেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সকালবেলা সড়কের কিছু কিছু যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
রবিশস্য রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা। কেউ নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও সব্জি চাষ করা শুরু করেছে। নতুন সপ্ন নিয়ে আশা নিয়ে বুনছে বীজ।
এলাকায় হাঁটতে বের হওয়া ফয়সাল হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী দৈনিক বাংলার অধিকারকে বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হই। তবে এ বছরের মধ্যে আজকের সকালটাকে একটু অন্য রকম মনে হলো। চারদিকের সাদা কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীতের দিন চলে এসেছে। অথচ অর্ধেক রাত পর্যন্ত ঘরে ফ্যান চালাতে হয়েছে। ’
সকালে হাঁটতে বের হওয়া আরও কয়েকজন বলেন, ফজরের নামাজের পর প্রতিদিনই এক থেকে দেড়ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস। আজ সকালে হঠাৎ একদম শীতের মতোই কুয়াশা। রাস্তাঘাট ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে। যেন পৌষ মাস! অথচ আশ্বিন মাসের ২৯ তারিখ আজ। আশ্বিনের বৈশিষ্ট্যের মতো রোদ আর গরম হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য যেন নিজের মতো করে পাল্টে নিতে চায় প্রকৃতি।
এদিকে সকালে দেখা গেছে চারপাশ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে। কিছু দূরত্বে যেন কিছু দেখা যাচ্ছে না। শীতের সকালের আমেজে এক ভিন্ন আবহ তৈরি হয় প্রকৃতিতে। ভোর থেকে ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজলেও কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ততটা তাপ ছড়াতে পারেনি। যেমনটা শীতের সকালে দেখা যায়।
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, আশ্বিন মাসে এমন কুয়াশা পড়ার ঘটনা কমই চোখে পড়ে। তবে, এবার ভিন্ন মনে হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.