|| ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আরব সাগরে পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তির জন্য তিল দান ও শ্রাদ্ধ।
প্রকাশের তারিখঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সনাতনীদের অমর পক্ষে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য অন্নজলে তর্পণ শ্রাদ্ধ পনেরো দিনব্যাপী চলে আসতেছে।
প্রতি বছরের ন্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত আবুধাবির শিল্পনগরী মুসাফফা কর্নেসে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তিল দান ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন।
আজ ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং রবিবার ভোর থেকে আবুধাবির বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সনাতনীরা পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় জ্বল তিল অর্পণ করতে আসেন। এতে পৌরহিত্যে করেন প্রণব চক্রবর্তী।
সনাতন ধারণা অনুযায়ী, যাঁরা দেহত্যাগ করে পরলোকে গমন করেন, তাঁদের আত্মার তৃপ্তির জন্য শ্রদ্ধাপূর্ণ তর্পণ করা হয়, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, যম শ্রাদ্ধপক্ষের(পিতৃপক্ষের) সময়ে জীবকে মুক্ত করে দেন, যাতে তাঁরা স্বজনদের তর্পণ গ্রহণ করতে আসতে পারেন। পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষরা মৃত্যুলোক থেকে পৃথিবীতে আসেন ও নিজের পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদ দেন। পূর্বপুরুষ প্রসন্ন হলে বাড়িতে সুখ-শান্তি বিরাজ করে।
মহাভারতের যুদ্ধে কর্ণের মৃত্যুর পর যখন তাঁর আত্মা স্বর্গে পৌঁছয়, তখন তাঁকে নিয়মিত ভোজনে সোনা ও অলঙ্কার দেওয়া হয়। হতাশ কর্ণ ইন্দ্রকে এর কারণ জিগ্যেস করলে ইন্দ্র জানান, কর্ণ সম্পূর্ণ জীবনে শুধু স্বর্ণালঙ্কারই দান করে গিয়েছেন, কখনও নিজের পূর্বপুরুষদের কিছু দেননি। এতে কর্ণের উত্তর, তাঁর পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এর পর পূ্র্বপুরুষদের ভোজন দানের উদ্দেশে ইন্দ্র তাঁকে ১৫ দিনের জন্য পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন। এই ১৫ দিনের সময়সীমাই পিতৃপক্ষ হিসেবে পালিত হয়।
শাস্ত্রানুযায়ী মৃতব্যাক্তিদের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে এবং তার পারমার্থিক উন্নতির কামনায় দান-ধ্যান ও অতিথিভোজন অনুষ্ঠান। মৃত ব্যক্তির সন্তান কিংবা আত্যীয়-স্বজনরা এই শ্রাদ্ধআদি অনুষ্ঠান করে থাকেন। আজ সাগর পাড়ে শ্রাদ্ধ এবং মোছাফ্ফাহ সনাতনী গীতা সংঘ নির্মাণাধীন মন্দিরে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.