|| ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
যার অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতা পেশায় এসেছি, যাকে নিয়ে গর্ব করা যায় তিনি হলেন সাংবাদিকদের বিপদের বন্ধু সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ। তার পিতা ডাকতেন মো. আব্দুল আজিজ নামে। তিনি ১৯৭৫ সালের ১ আগস্ট কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গোবরিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আব্দুল হাই, মাতা মোছা. আনোয়ারা বেগম। তার বাল্যকাল কেটেছে গ্রামে ও বিভিন্ন শহরে। তার বাবা জনতা ব্যাংকে চাকুরি করার সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্কুলে লেখা পড়া করেছেন। স্কুলে পড়ার সময়ই লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তিনি যখন স্থানীয় লক্ষ্মীপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন তখন ঢাকা থেকে প্রকাশিত ভাটির কল্যাণমুখী পাক্ষিক "দশের কথা" পত্রিকায় রিপোর্টিংয়ের কাজ শুরু করেন। পরে তিনি একই বছর ২১ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এন্ট্রি এয়ারক্রাফ্ট রেজিমেন্ট আর্টিলারিতে যোগদান এবং আর্মস কমান্ডোসহ বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেন। সাহিত্য চর্চা ও সাংবাদিকতার আকর্ষণ ও আগ্রহের কারণে চাকুরিতে তার মন বেশিদিন টিকেনি। ১৯৯৬ সালের ৮ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকুরী ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন। আবার শুরু করেন কবিতা লেখা ও পত্রিকায় রিপোর্টিং এর কাজ।
তিনি যেসব পত্রিকায় রিপোর্টিং এর মাধ্যমে একজন সংবাদকর্মী হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এগুলোর মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক মানব জমিন, দৈনিক বাংলাদেশের খবর, দৈনিক সমাচার, দৈনিক লাল সবুজের দেশ, দৈনিক ভোরের সময়, দৈনিক সরেজমিন বার্তা, দৈনিক এশিয়া বাণী, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন, দৈনিক নিরপেক্ষ, দি ডেইলি মুসলিম টাইমস, অপরাধ জগত, অপরাধ বিচিত্রা, সপ্তাহের খবর, সাপ্তাহিক খোঁজ খবর, সাপ্তাহিক আনন্দদিন ও ভাটির কল্যাণমূখী পাক্ষিক দশের কথা।
কিশোরগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সারাদিন, দৈনিক কিশোরগঞ্জ, দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ, দৈনিক আমার বাংলাদেশ, দৈনিক সাতকাহান ও দৈনিক আজকের দেশ। ভৈরব থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকণ্ঠ, দৈনিক গৃহকোণ, সাপ্তাহিক গৃহকোণ, সাপ্তাহিক দিনের গান, সাপ্তাহিক সময়ের দৃশ্যপট, সাপ্তাহিক অবলম্বন, সাপ্তাহিক জনপদ সংবাদ ও স্পেশাল বুলেটিন-২০১৪।
নরসিংদী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নিরপেক্ষ রুণিমা, সাপ্তাহিক নরসিংদীর কথা ও সাপ্তাহিক আজকের খোঁজ খবর।
কুলিয়ারচর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক কুলিয়ারচর। কটিয়াদি থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক কটিয়াদী সমাচার। আশুগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক একুশে আলো, ম্যাগাজিন একুশে আলো, দৈনিক একুশের আলো, সাপ্তাহিক কলমের কথা ও সাপ্তাহিক সোনালী ধারা। এছাড়াও বাৎসরিক স্মরনিকা নাগরিক বার্তা ও স্টার দর্পন।
অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যে রয়েছে হাওর টাইমস ডটকম, জোনাকী টেলিভিশন ডটকম, অভিযান টিভি ডটকম, তালাশ বিডি ডটকম, মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম, আলোকিত খবর ডটকম, বাংলা দৈনিক ডটকম, দৈনিক ঈসাখাঁ সংবাদ ডটকম, দৈনিক দক্ষিণের ক্রাইম ডটকম, তালাশ বিডি ডটকম, সকালের বাংলাদেশ ডটকম, বিরয়ানী বাজার ডটকমসহ আরো অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে তিনি এখনো যেসব পত্রিকায় নিয়মিত কাজ করছেন তা হলো- জাতীয় দৈনিক নয়াদিগন্ত (কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি), দি ডেইলী মুসলিম টাইমস (কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি), দৈনিক পূর্বকণ্ঠ (বার্তা সম্পাদক), সাপ্তাহিক দিনেরগান (বার্তা সম্পাদক), সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন (বার্তা সম্পাদক), ম্যাগাজিন অপরাধ জগত (হাওর অঞ্চল প্রতিনিধি) ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি চ্যানেল ফোর (স্টাফ রিপোর্টার)।
মুহাম্মদ কাইসার হামিদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা এবং সাংস্কৃতিাঙ্গনেরও একজন সক্রিয় কর্মী। কবিতা লেখেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে তার শতাধিক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বই পড়া ও ছবি তোলা তার সখ। স্থানীয়ভাবে সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তারসহ নানামুখি উন্নয়নের সাথে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। এলাকার সমস্যা পীড়িত মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র মিডিয়াকর্মী হিসাবে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি প্রথমে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক পরে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি লক্ষ্মীপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও লক্ষ্মীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে আহবায়ক কমিটিকে সহযোগিতা করছে।
তিনি নিজে যেমন সাংবাদিকতাকে হৃদয়ে লালন করেন তেমনি অন্যদেরকেও এ পেশায় কাজকরার জন্য উৎসাহ দিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে তিনি যাদেরকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় এনেছেন তারা হলেন, কুলিয়ারচরের মুছাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, মো. মাইন উদ্দিন, মোছা. শরীফুন নেছা শুভ্রা, ফারজানা আক্তার, শাহীন সুলতানা, মৌসুমী আক্তার, মো. নাদিম, মো. ইয়াছিন আরাফাত ও মোছা. নিলুফা আক্তার নীলা।
ভৈরবের ডা. মুহাম্মদ মিজানুর রহমান কবির। বাজিতপুরের উমর ফারুক ও অষ্টগ্রামের ঝুটন আহমেদ।
তিনি যাদেরকে সাংবাদিক জগতে এনেছিলেন কিন্তু কাজ করতে আগ্রহী হননি তারা হলেন, ফজলুর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মো. নাছির উদ্দিন, সাহাদৎ হোসেন, আলফা ইসলাম, তৌহিদা আক্তার রোখসানা, রোখসানা ইসলাম ও মো. সুজন মিয়া।
তার একটি গুণ সকলকে মুগ্ধ করেছে তাহলো, যখনই কোন সাংবাদিক বিপদে পড়েন কুলিয়ারচরের মধ্যে তিনিই একজন সাংবাদিক যে কিনা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মান-ইজ্জতের ভয় না করে বিপদগ্রস্ত সাংবাদিককে উদ্ধার করতে ঝাপিয়ে পড়েন। শুধু কুলিয়ারচর উপজেলা নয়, যে কোন উপজেলার সাংবাদিকদের বিপদে তাকে পাশে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় সাংবাদিক ছাড়াও নিরীহ ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। তাকে বিপদের বন্ধু বলা যায়।
সাংবাদিক ও নির্যাতিত মানুষের উপকার করতে গিয়ে ইতো মধ্যে বহুবার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ার পাশাপাশি ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, স্কুল ছাত্রী অপহরণ, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলার আসামী হতে হয়েছে তাকে। কুলিয়ারচর থানায় তার বিরুদ্ধে বহু জিডি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অনেক অভিযোগ হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলন সহ মানববন্ধনও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলা, জিডি ও অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি তেমন লেখাপড়া না করেও ভৈরবের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের উর্ধতন নির্বহী কর্মকর্তা, সেন্ট্রাল হাসপাতাল ভৈরব এর সহকারী ম্যানেজার, কুলিয়ারচর জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার ও আল-রাজ্জক ডিজিটাল জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অফিসার পদে কাজ করেছেন। তাকে নিয়ে শুধু গর্বই নয় অহংকারও করা যায়। তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেও সন্তানদের মানুষ করতে কৃপণতা করেননি। তার বড় মেয়ে নাসিন সুলতানা রানী মাস্টার্স ডিগ্রী পাস, মেজো মেয়ে জেসমিন সুলতানা স্মৃতি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে, ছোট মেয়ে মাইমুনা সুলতানা প্রীতি নার্সিং-এ অধ্যায়নরত, বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ইয়াসীন ৮ম শ্রেণিতে ও ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফাহিম তাসীন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
তার ছোট ভাই মো. আব্দুল মালেক (কবির) ছয়সূতী ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক, মো. আব্দুল খালেক (আহম্মদ) বীর কাশিমনগর এফ.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সবার ছোট ভাই মো. আব্দুল কাদির (হারুন) বেগম নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার পিতা মরহুম মো. আব্দুল হাই প্রথমে শিক্ষকতা করেন পরে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। তার স্ত্রী মুছাম্মৎ রোকেয়া আক্তার (রীনা) জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন ও সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকার কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। আমি তার সর্বাঙ্গীক মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।