|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
খোরশেদ আলম এর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাভারের বিএনপি
প্রকাশের তারিখঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
সাভার পৌরসভা মেয়র পদপ্রার্থী আগামী দিনের কাণ্ডারি হলেন ঢাকা জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খোরশেদ আলম। সাভারের বিএনপির শক্ত হাতে হাল ধরেছেন বিএনপির এই জেলা নেতা। আর খোরশেদ আলম হাত ধরেই সাভারের বিএনপি নতুন নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
সাভারের বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এতোদিন কিছুটা বিভক্ত থাকলেও এখন মিলিত হচ্ছেন মূলধারা খোরশেদ আলম বলয়ে। ১/১১ বিএনপির দুঃসময়ে থেকে এখন পর্যন্ত সাভারের বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছাঁয়ার মতো পাশে আছেন খোরশেদ আলম।
এছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের সকল কমিটি নতুন করে গঠনের মধ্যদিয়ে দলীয় পরিচয় নেতাকর্মীরা। অবশেষে দলীয় পদ-পদবী পেয়ে নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছেন সাভারের বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর খোরশেদ আলম হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাভারের বিএনপি। সাভারকে বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।সাভারের বিএনপির ভবিষৎ রাজনীতি খোরশেদ আলম উপরেই আস্থা রাখতে চান নেতাকর্মীরা এমনটাই জানাগেছে।
সাভারের বিএনপির সূত্রে জানাগেছে, ২০০৬ সালে বিএনপির ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর ওয়ান- ইলেভেনের সময়ে তাৎকালীন অনেক বিএনপির নেতাকর্মী ও দলের সঙ্গে বেইমানি করেন। নিজেকে বাঁচাতে নেতাকর্মীদের ছেড়ে ১/১১ সময় দলের বিরোধীতা করে সংস্কারবাদীদের সাথে যোগ দেন। এরপর অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন সাভারের বিএনপির নেতাকর্মীরা। হামলা- মামলা নির্যাতনে জর্জরিত অসহায় সাভারের বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছাঁয়ার মতো এসে পাশে দাঁড়ায় তরুণ রাজনীতিবিত বিএনপির জেলার নেতা মোঃ খোরশেদ আলম। খোরশেদ আলমকে সাভারের বিএনপির রাজনীতিতে পেয়ে পুনর্জীবিত হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
নিজ পরিবারের মত করে দলীয় নেতাকর্মীদের আপন করে তিনি। এরপর থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রাম, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে সব সময় রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় থেকে পুরো জেলাজুড়ে আলোচিত হন তরুণ নেতা। নেতাকর্মীদের সকল মামলা, হামলা, সকল বিপদে-আপদে পাশে আছেন তিনি।
শুধু তাই নয় মামলা, হামলা ও রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করা নেতাকর্মীদের বিনা পয়সার আইনী সহয়তাও দিয়েছেন খোরশেদ আলম এখনও পর্যন্ত দিয়ে যাচ্ছেন। তার এ দায়িত্ব কর্তব্যবোধের কারণে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা তার প্রতি বেড়েছে দিগুন। ফলে তার মাধ্যমেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা সাভারের বিএনপির পরিবর্তন চান। সাভারের বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারি হিসেবে নেতাকর্মীরা এখন খোরশেদ আলম উপরই ভরসা রাখতে চান। স্বপ্ন দেখছেন খোরশেদ আলম নেতৃত্বেই সাভারের বিএনপির ভবিষৎ রাজনীতি।
সূত্রে আরও জানাগেছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে খোরশেদ আলম আস্থা রয়েছে। দলের দুঃসময়ে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির চেয়ারপাসনের কারাবন্দী, মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারী প্রেরনা জারির প্রতিবাদে প্রতিটি কর্মসূচি সাভারের ও এলাকায়ও নেতাকর্মীদের নিয়ে পালন করছেন। এমনকি ঢাকার প্রতিটি কর্মসূচিতেও তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে সরকারি দলের রোষানলে পড়ে অনেক মামলার আসামী হয়েছেন। দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা থাকায় তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে।
ঢাকা জেলায় একমাত্র বিএনপি নেতা হিসেবে মোঃ খোরশেদ আলম ১/১১ সরকারের সময় প্রোগ্রাম করেন ।এবং ১/১১ সময়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাথে ওবিএনপি নেত্রী সুলতানা আহাম্মেদ একসাথে তিনিও নেতৃত্ব দেন।
এবিষয়ে জাবি ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি নবীনুর রহমান নবীন বলেন, সাভারের বিএনপর দুঃসময়ে কান্ডারি হলেন ঢাকা জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খোরশেদ আলম। ১/১১ সময়ে আঙুর ও অনেক সাভারের থেকে পালিয়ে যায়। ঠিক তখনই তার সাভারের বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ায় মোঃ খোরশেদ আলম । তিনি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে সাভারের বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন। নেতাকর্মীদের হামলা মামলায় পাশে ছায়ার মতো পাশে আছেন। নিজে ও ২০ টা মামলায় খালাশ পেয়েছি এখনো ৭০ টা মতো মামলায় আসামী হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি মামলায় কারাভোগও করেছেন।
তিনি আর বলেন, বিএনপির রাজপথের ত্যাগী ও জেল- জুলুম নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা দলীয় পরিচয় পেয়েছেন। দলীয় পরিচয় পেয়ে নেতাকর্মীরা নতুন করে জেগে উঠেছে। আর এখন তারা বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু যত অপচেষ্টাই করুক না কোনো সাভারের মোঃ খোরশেদ আলম নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.