|| ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পথে বসব আমি এবার ভাঙলে বসতবাড়ি।নদীর পাড়ের আব্দুল খালেক
প্রকাশের তারিখঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মোঃ হামিদুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
একবার নয়, দুইবার ঘরবাড়ী সড়িয়েছি, আবার ভাঙতে হচ্ছে,একটি ঘর সড়িয়েছি নিয়েছি,ভাঙনে পাকাবাড়ি কাঁচা সবই শেষ,মাথা গোঁজার শেষ ঠাঁই বসতিটা নদী গর্ভে বিলীন হলে পথে বসবো পরিবার নিয়ে। চোখের পলকেই সাজানো গোছানো সংসার শেষ।কবে রক্ষা পাবো এ ভাঙন থেকে। তিস্তা নদী ছিলো কোথায়? এসেছে কোথায়? যেন দেখার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেন আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন
ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বাপদাদার বসতভিটা। তিস্তা নদী এখন আমার আঙিনায়।আমাদের বাড়ীর ভাঙন ঠেকাতে মাত্র তিনশত জিওব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি, মাত্র তিনশত জিওব্যাগে কি ভাঙন ঠেকাবে।
পাশেই বসবাসকারীরা চান্দ মিয়া
বলেন, বাবা- ও বড়ভাইয়ের বসতভিটা এখন নদীতে,আমার বসতের একটি ঘরে আমরা সবাই থাকি,পাঁচভাইয়ের মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই, থাকবো কোথায় এ ভাবনার শেষ নেই,বাঁধের রাস্তায়ও ঘর উঠানোর জায়গায় নেই।পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে আছি,এবার নিয়ে তিনবার ভাঙল বড় ভাই ছকির উদ্দিনের বসতভিটা।সরেজমিনে দেখা গেছে, মোন্নাফের বসতভিটার সামনে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে তিনশত জিওব্যাগ ফেলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নের কিছু শ্রমিক।কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান জানান জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ জনবসতি এলাকায় ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.