|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নবীনগরে কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে পদত্যাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা
প্রকাশের তারিখঃ ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমানকে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবাদে এবার শিক্ষার্থীরাই নেমেছে আন্দোলনে।
প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি অন্যায়ভাবে পদত্যাগ করানো হয়েছে অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমানকে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রছাত্রীরা স্লোগান দেয় জোর করে পদত্যাগ মানবো না, মানবো না।
উপস্থিত ছাত্র ছাত্রীরা বলেন
স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম খান নামে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি কয়েকজনকে নিয়ে গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্যার কে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করানোর ঘটনায় আমরা সকল শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে আব্দুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা তো নিরীহ মানুষ, প্রভাবশালী (জাহাঙ্গীর আলম খান) পদত্যাগ করতে আমাকে বাধ্য করেন।
শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি ও অভিযোগ নিয়ে যাচ্ছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
বিষয় টি জানতে সরজমিন ঐ বিদ্যালয়ে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম খান কে না পেলেও কথা হয় ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা কয়েকজন সদস্যদের সাথে উনারাও জানান।
স্যার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক প্রভাব খাটিয়েছেন কখনো কোন তথ্য ওনি দেন নি স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছেন, তবে এ বিষয় কখনো কোন অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি উপস্থিত সদস্যরা। এ বিষয় কয়েকজন শিক্ষকরা জানান আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের অধ্যক্ষের বিষয় এ কোন অভিযোগ নেই, ওনি চাপের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন এমটা হলে শিক্ষার মান ভালো হবে না, এ সময় উপস্থিত অন্যরা তর্কবির্তকে জড়িয়ে পরেন।
এ বিষয় এ
জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। শিক্ষার্থীরা আজকেও প্রতিবাদ জানিয়েছে। জোর করে তো কাউকে পদত্যাগ করানো যায় না। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে সভাপতিকে জানাবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
অধ্যক্ষ আমাকে ফোন করেছিলেন, তিনি বলেছেন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সই না করলে হয়তো আমাকে মেরে ফেলা হতো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.