|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
রংপুরে সাবেক স্পীকার, এমপি, বিভাগীয় কমিশনারসহ ১৭জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ আগস্ট, ২০২৪
রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর।
বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুর সিটি বাজারের সামনে স্বর্ণ শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন আমলি আদালত এর বিচারক রাজু আহম্মেদ বাবু এর আদালতে ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জ এর সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো: শাহাজাহান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিসার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বানিজ্য মন্ত্ৰী টিপু মুন্সি, সাবেক স্পীকার ড.শিরিন শারমিন চৌধুরী, সাবেক এমপি নাছিমা জামান ববি, রংপুর আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও পিপি আব্দুল মালেক ও রংপুর আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাড.আব্দুল হক প্রামানিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, রংপুর -২ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম মো: আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক,রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বকুল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাফিয়ার রহমান ও সাবেক সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে আসামী করে নিহত মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন আমলী আদালতে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলায় বাদী উল্লেখ করেন,গত ১৯ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে রংপুর সিটি বাজারের সামনে মামলার আরজীতে উল্লেখিত ১ থেকে ৭ নং আসামীর নির্দেশে ২,৩,৫,৬ ও ৭ নম্বর আসামীসহ হেলমেট পরিহিত অপরিচিত পুলিশ বাহিনীর এলো পাতারী টিয়ার শেল, শর্ট গানের গুলি,চাইনিজ রাইফেল দিয়ে ছাত্র জনতার উপরে গুলিবর্ষন করে। এতে বাদিনী দিলরুবা আক্তারের স্বামী মুসলিম উদ্দিন মিলন এর বুকে গুলি লাগিলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। এতে তার স্বামী ছাড়াও আরো অনেকে গুলিতে মারাত্বক আহত হয়।এরপর মুসলিম উদ্দিন মিলনকে রক্তাক্ত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসকরা মিলনকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর ১ থেকে ৭ নম্বর এবং ১১ ও ১২ আসামীর চাপে ও বাধার কারনে পোষ্ট মর্টেম ছাড়াই আসামীগন তাড়াতাড়ি লাশ দাফনে বাধ্য করেন।এই হত্যা মামলাটি পরিচালনা করেন রংপুর মেট্রোপলিটন আমলী আদালতের আইনজীবি মোফাজ্জল হোসেন বকুল।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.