|| ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
দুই ছেলেকে আন্দোলনে পাঠিয়ে ছিলেন ডিপজল
প্রকাশের তারিখঃ ১৯ আগস্ট, ২০২৪
চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে যোগ দিতে তার দুই ছেলে শাদমান মনোয়ার অমি ও সামির মনোয়ারকে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ন্যায্য ছিল। তাদের আন্দোলন দমাতে যখন হামলা ও নির্বিচারে গুলি করা হয় এবং আমার সন্তানের মতো শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়, তখন ঠিক থাকতে পারিনি। শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিশু থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যখন গুলি খেয়ে নিহত হয় এবং শত শত মানুষ আহত হয়, এমন দৃশ্য সহ্য করতে পারিনি। কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষেও সহ্য করা সম্ভব নয়। আমার দুই ছেলেকেও আটকে রাখতে পারিনি। ওদের বলেছি, তোমরাও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াও। তাদের সহযোগিতা করো। তারা গিয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করেছে, তাদের বাবা-মায়েরাও আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, এ দৃশ্য দেখার পর আমি আমার দুই ছেলেকে বলেছি তোমরাও যাও। আমারও ইচ্ছা ছিল, তাদের সাথে যোগ দেয়ার। কিন্তু চোখের সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। আমার দুই ছেলেকে পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছি। তারা বিজয়ী হয়েছে। ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এনে দিয়েছে। ডিপজল বলেন, শিক্ষার্থীদের বিজয়ের পর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর স্বার্থান্বেষী মহল আক্রমণ করে, তখন আমার এলাকার হিন্দুদের মন্দিরসহ তাদের নিরাপত্তার জন্য আমার লোকজন দিয়ে দিনরাত পাহারার ব্যবস্থা করি। আমি সবসময়ই হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম আছি, থাকব। আমার ফুলবাড়িয়া বাড়ির পাশের বাড়িই হিন্দু বাড়ি। আশপাশে আরও অনেক হিন্দু বাড়ি ও মন্দির রয়েছে। তাদের উৎসব-পার্বনে সবসময়ই পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি এ বিশ্বাস করি, আমরা সব ধর্মের মানুষই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে থেকে পাশাপাশি বসবাস করব। এটা আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস। এই সম্প্রীতি রক্ষা করে চলা আমাদের সবারই দায়িত্ব।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.