|| ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
মেট্রোরেল চালুর কথা জানালেন সড়ক উপদেষ্টা
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ আগস্ট, ২০২৪
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বোর্ডের সদস্য না থাকা, বোর্ডের সভা না হওয়ার জন্য মেট্রো চালু করা যায়নি। সরকার পরিবর্তনজনিত প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ হয়েছে। সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে মেট্রো চালু হবে।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ব্যয় সংকোচন করতে হবে।
সরকার আয় করতে পারেনি তাই। সড়কের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঠিক করা হবে। এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। সড়ক জনপথের যেসব প্রতিষ্ঠানে আগুন বা ভাঙচুর হয়েছে, সেগুলো সংস্কার হচ্ছে।
আগের মতো সিঙ্গেল সোর্স প্রকিউরমেন্ট হবে না। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতুভবনের দুটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত। দ্রুত এফডিসি র্যাম্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছি। বড় প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের সিদ্ধান্ত। আমার প্রকল্প নেব।
সারা দেশের হিসাব করে। সারা দেশে কাজ হবে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, চেনা মুখে ঠিকাদারি হবে না। সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। ই-টেন্ডারিং দিয়ে ধোঁকা দিয়েছে। ধোঁকাবাজির দিন শেষ। রিয়েল ইন্ডিকেটর জানাব। সড়কে কোথায় যেতে কত সময় লাগবে। ঢাকার প্রধান সড়কে গাড়ি থামার জায়গা করতে হবে। জায়গায় জায়গায় গাড়ি না থামে। এখন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন। মানুষের কী উপকার হলো।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, সবার জন্য সরকার। শুধু ঢাকা বা বড় শহরগুলো নয়, পুরো দেশের সড়ক ঠিক করতে হবে। মানুষের চলাচলের চাপ বিবেচনায়। দেশের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বিশ্বে প্রথম। এই অপবাদ দূর করতে হবে। নিম্নমানের সড়কের কাজ গ্রহণ করা হবে না। আমরা কম করবো না। আমরা বেশি করব। না হলে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। আমাদের প্রিফারেবল কেউ নাই। সক্ষম লোক আমাদের কাজ করবে।
সড়ক ও যোগাযোগ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর এখনকারটাও জনপ্রত্যাশার সরকার। সাংবাদিক রোজিনার মত বিষয় হবে না। আমরা আইনের মধ্যে থেকে সাংবাদিকদের সার্বিক সহায়তা হবে।
যানবাহনে সড়কে চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। সড়ক যোগাযোগ রেগুলেটরি মিনিস্ট্রি। চাঁদা সংক্রান্ত ইস্যু স্বরাষ্ট্রের বিষয়। তবে চাঁদা কালেক্ট হয়। যায় কোথায়? আমরা চাঁদার রিসিপিয়েন্ট হবো না। সড়কের কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত হলে ব্যবস্থা।
বিআরটিএ’র অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএতে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করব। জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে হবে বিআরটিএকে। তিনদিনের বেশি লাইসেন্স প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে না। অনলাইনের অযুহাত দেখানো যাবে না।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.