|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পঞ্চগড়ে একই পরিবারের তিন জনকে কুপিয়ে হত্যা ও প্রধান আসামী গ্রেপ্তার, পুলিশ সুপার এর প্রেস ব্রিফিং
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ আগস্ট, ২০২৪
পঞ্চগড়ে একই পরিবারের তিন জনকে কুপিয়ে হত্যা ও প্রধান আসামী গ্রেপ্তার, পুলিশ সুপার এর প্রেস ব্রিফিং
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে দুই ছেলে সহ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃবৃত্তরা । আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামে নিজেদের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সৈকত (১৩ ) , সাইয়াম (৮) এবং তাদের মা তছলিমা বেগম (৩৫) । তছলিমা বেগমের স্বামী আবু সেলিম একজন কাপড় ব্যবসায়ি। বোদা পৌর বাজারে তার কাপড়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো দুপুরের পরে পরেই তিনি দোকানে চলে যান। রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির প্রধান দরজা খোলা। পরে ডাইনিং রুমের দরজাতে দাঁড়াতেই মেঝেতে তিনি রক্তাত্ত তিনটি লাশ দেখতে পান। দুই ছেলে ও স্ত্রীর রক্তাত্ত মরদেহ দেখেই তিনি চিৎকার দিয়ে ওঠেন। প্রতিবেশিরা ছুটে এলে পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ১২ ঘন্টার মধ্যে নবীন ইসলাম জাহিদ (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী জাহিদ এই হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত আছে বলে স্বীকরোক্তি দিয়েছে। গত বুধবার রাতে দুই ছেলে সহ মাকে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা।
তিনি বলেন প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে তছলিমা বেগমের স্বামী সাদ সেলিমের একটি মুরগীর ফার্মে চাকুরী করতো, পশ্চিম সাতখামার এলাকার ফজলার রহমানের ছেলে নবীন ইসলাম জাহিদ সহ অন্য তিন আসামী। এরা হলো ইসলাম বাগ মুসলীমপুরের সফিউর রহমানের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান বঁাধন, নগরকুমারী এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে রিমন ইসলাম, ইসলামবাগ কলেজ পাড়া গ্রামের সলিম উদ্দিনের ছেলে রিফাত ইসলাম।নানা অনিয়মের কারণে একসময় তাদের চাকুরী চ্যুত করা হয়। এই ঘটনার জের ধরেই তারা পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যা কান্ড ঘটায়।
ঘটনার দিন রাতে তারা সাদ সেলিমকে বাড়িতে খুঁজতে যায় । তাকে না পেয়ে প্রথমে ছোট ছেলে সাইয়াম, পরে তার মাকে এবং শেষে বড় ছেলে সৈকত কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। সৈকত বোদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ এবং সাইয়াম ইসলামবাগ মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তো। এ ঘটনায় সাদ সেলিম বাদি হয়ে আটোয়ারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটি বাড়ির পাশের একটি বাস বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ গুলোর ময়না তদন্ত চলছে। শিঘ্রই আমরা অন্য তিন আসামীকেও গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো। আশা করা হচ্ছে যে অতি শীঘ্রই বাকি তিনজনকেও কাঠগড়ায় দেখা যাবে ।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.