|| ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
রাজধানী জুড়ে গণপরিবহণ সংকট
প্রকাশের তারিখঃ ৪ আগস্ট, ২০২৪
সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রোববার থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে গড়ে ওঠা এই প্ল্যাটফর্ম। একই সঙ্গে জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
কোনো ধরনের ট্যাক্স প্রদান না করাসহ অসহযোগ আন্দোলন পালন করতে ছাত্র-জনতাকে একদফা নির্দেশনা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ থেকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আন্দোলন কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে যানবাহন কম। সড়কে গণপরিবহণ দেখা মেলেনি। যাও একটি-দুটি দেখা গেছে, তাতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সড়কে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও তেমন ছিল না। যেগুলো ছিল, তারা ইচ্ছামতো ভাড়া দাগিয়েছে।
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ গ্যাস বিদ্যুৎ বিল না দেয়ার কথা বলেছেন, এবিষ গুলো সুশীল সমাজের মধ্যে আতংকের ছায়া, তারা বলেন আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক দল ভিতরে ডুকেছে।
দেশেটি পাকিস্তান করতে চায় ছাএদের দিয়ে সকল ছাএদের সজাগ থাকতে হবে দেশ যেন ক্ষতি সাধন না হয়। অন্য দিকে যানবাহন ব্যবস্থায় খুবই কম।আতংকে আছে যানবাহন ব্যবস্থায়ীরা।
রোববার সকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা আমাদের প্রতিবেদকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নতুনবাজারগামী রামপুরা থেকে আসা আবদুল কাদের একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, সকাল ৭টা থেকে সড়কে ছিলাম। তেমন গণপরিবহণ নেই। রিকশা ও অটোরিকশাচালকরা বেশি ভাড়া যাচ্ছিল।
প্রায় ৪৫ মিনিট পর একটি গণপরিবহণের দেখা মেলে। সেটিও ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। খুব কষ্ট করে সেটাতে উঠে পড়ি।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা সিরাজ নামে এক যাত্রী বলেন, ভেঙে ভেঙে আমাকে আসতে হয়েছে। স্টাফকোয়ার্টারে এসে বেশ বেকায়দায় পড়ে যাই। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি বাস পাই। আর তা দিয়ে রাজধানীতে ঢুকি।
সকাল ৯টায় অফিস ধরতে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়া যাত্রী শান্ত মাহমুদ বলেন, খিলখেত মোড়ে এসে দেখি কোনো বাস নেই। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করেও রাস্তায় কোনো বাসের অস্তিত্ব খোঁজে পেলাম না। দেখলাম আমার মতো অসংখ্য অফিসগামী যাত্রীরা বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। দূরের যাত্রিদের মধ্যে কেউ কেউ বাসের আশা ছেড়ে দিয়ে সিএনজি বা মোটর সাইকেলে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। বাস পাব না ধরে নিয়ে আমিও শেষ পর্যন্ত হেঁটেই অফিসে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। যেহেতু অফিস খুব বেশি দূরে নয়, তাই আধা ঘণ্টা হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.