|| ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
ভাই, আমি আগুনে আটকা পড়ছি’
প্রকাশের তারিখঃ ২২ জুলাই, ২০২৪
ভাই, আমি আগুনে আটকা পড়ছি’
পাবনা সদর উপজেলার চর ভাবানিপুর গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মন্ডল।
পেশায় নির্মাণ শ্রমিক মি. মন্ডল মাসখানেক আগে ঢাকায় এসেছিলেন। কাজ করছিলেন নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন ভবনে।
ওই ভবনের দোতলার একটি কক্ষে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন নির্মাণ শ্রমিকরা।
নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বিক্ষোভকারীরা
ছবির ক্যাপশান,নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বিক্ষোভকারীরা
গত শনিবার দুপুরে ওই এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হলে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর মি. মন্ডলসহ অন্য শ্রমিকরা ভবনের দোতলায় নিজেদের কক্ষে চলে যান। এর ঘণ্টা দেড়েক পর ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে যখন আগুন লাগে, তখন শ্রমিকদের অনেকেই ঘুমাচ্ছিলো,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. মন্ডলের বড় ভাই ওয়াজ মন্ডল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই দোতলা পেরিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনের তিন তলা পর্যন্ত। আগুনে আটকে পড়লে বাড়িতে ফোন করেন সেলিম মন্ডল।
“কান্না-কাটি করতে করতে সেলিম শুধু বলতেছিলো, ও ভাই আমি আগুনে আটকা পড়ছি। মনে হয় বাঁচবো না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন বড় ভাই ওয়াজ মন্ডল।
আগুনের ঘটনার সময় মি. মন্ডলের সঙ্গে অনিক নামে তার এক ভাতিজাও ছিল। প্রাণে বাঁচতে তিনি দোতলা থেকে লাফ দেন। মি. অনিক এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
“এর সঙ্গে কথা বলেই পরে আমরা জানতে পারি যে, সেলিম বের হতে পারেনি,আগুনে পুড়ে মারা গেল নির্মাণ স্রমিক।
ছাএ সমাজ আন্দোলনের নামে মানুষকে এভাবে মারবে আশাবাদী না মৃত ব্যক্তির পরিবার।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.