|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নবীনগরে রাস্তার দুপাশ দখল করে গড়ে ওঠা কয়েক শতাদিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
প্রকাশের তারিখঃ ১৫ জুলাই, ২০২৪
মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের নবীনগর টু কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা কয়েক শতাদিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথমে স্থানীয় অবৈধ দখলদারদের বাধায় উচ্ছেদ অভিযান কিছুটা ব্যাহত হলেও পুলিশের জোড়ালো ভূকিকায় কিছুক্ষণ পর থেকে শক্তিশালী ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এতে টানা সাত ঘণ্টার অভিযানে রাস্তার দুপাশ দখল করে গড়ে ওঠা কয়েক শতাদিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম। উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, উপজেলার সহকারী কমিশনা ভূমি আবু মোছা, নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহাবুবুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার শিউলী, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি সহ প্রায় শতাদিক পুলিশ সদস্য।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, দোকানগুলো সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। পূর্বে ব্যবসায়ীদের একাধিকবার নোটিশ ও মাইকিং করে এসব অবৈধ দখলদারদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি মানা হয়নি। ফলে বিধি অনুযায়ী এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য স্থানীয়দের সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
এব্যাপারে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন জানান, আগামীতে এই বাজারের মধ্য দিয়ে ফোরলেনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ফলে আমাদের জায়গাগুলো দখলমুক্ত করা প্রয়োজন হয়ে পড়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেক্রমে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জানা যায়, এই বাজারটি কেবল একটি ঐতিহাসিক স্থান ছিল না, বরং এটি উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারের জীবিকার প্রধান উৎস ছিল। এই বাজার উচ্ছেদের ফলে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও কর্মী বেকার হয়ে পড়েছে। এতে করে স্থানীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তাদের পূর্ব নোটিশ দেওয়া হয়নি। বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে আচমকা এ অভিযানে তাদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.