|| ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
শ্যামনগরে যুবতীকে নিয়ে ফুর্তি করা অবস্থায় নকিপুর হাই স্কুলের শিক্ষক হাফিজুর কট? অবশেষে টাকার বিনিময়ে দফারফার অভিযোগ
প্রকাশের তারিখঃ ৮ জুলাই, ২০২৪
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বহু নারী কেলেঙ্কারী সহ বহু অপকর্মের হোতা আলোচিত হাফিজুর রহমান এক সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্ত এক যুবতী গৃহবধূকে নিয়ে নির্জন ছাত্রাবাসে ফুর্তি করার সময় বেরসিক জনতার হাতে নাতে ধরা। উত্তম মধ্যম খেয়ে এক জন প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় ৭০ হাজার টাকায় দফারফা করে।
এদিকে নিজের অপকর্ম ঢাকতে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে থানায় মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেও কোন লাভ হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ জুন বিকাল ৪ টার সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আতরজান মহিলা কলেজ সংলগ্ন মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে। বহু নারী কেলেঙ্কারী ও ছাত্রী ধর্ষণের হোতা হাফিজুর রহমান মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালিনগর মুন্সিগঞ্জ গ্রামের ইসহাক মল্লিকের পুত্র।
বিষয়টি জানতে পেরে নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান গত ৩ জুলাই তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগের সূত্র ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বহুল আলোচিত লম্পট শিক্ষক হাফিজুর রহমান ফুর্তি করার জন্য তার এক প্রাক্তন ছাত্র নাঈমের মাধ্যমে বাধঘাটা গ্রামের মেহের আলীর প্রথম ঘরের কন্যা ১ সন্তানের জননী সাথীকে (ছদ্মনাম) মোটা অংকের টাকা দিয়ে আতরযান মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে।
ছাত্রাবাসের গোপন ঘরেও ফুর্তি করার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা বেরসিক জনতা বন্ধ ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ভিডিও ধারণ ও মারধর শুরু করে করে।
ঐ সময় দালাল সহ তাকে ধরে উত্তম মধ্যম দিলে উপজেলার এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ভিডিও মুছে ফেলার অঙ্গীকারে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
তবে চুক্তি মোতাবেক ২০ হাজার টাকা কম দেওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৩ টি বউ তালাক দেওয়া বহুল আলোচিত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ২০১৯ সালে তারই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে পরবর্তীতে তার ভাই বকুল মেম্বারের হস্তক্ষেপে চাকরি বাঁচানোর জন্য বাদীর হাতে পায়ে ধরে সে যাত্রায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে রেহাই পায়। এ ঘটনায় স্কুলের ছাত্ররা ছাত্রীরা শিক্ষকের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এছাড়াও হাসু( ছদ্মনাম) নামে স্থানীয় এক ভাসমান পতিতার কাছে যেয়ে লাঞ্ছিত হয়।নিজের কর্মস্থল ঐ বিদ্যালয়ের এক আয়াকে কুপ্রস্তাব দিয়ে তার বাড়িতে যেতে চাইলে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কয়েক মাস স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য শিক্ষক হাফিজুর রহমানের নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান তার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিরোধ থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমি প্রধান শিক্ষকের নামে থানায় অভিযোগ করেছি ।
তবে চাকরি বাঁচানোর তাগিদে খরচ খরচা মেয়ে নিউজটি বন্ধ করার অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডক্টর আব্দুল মান্নান নিকট এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান শিক্ষক হাফিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন অন্ত নাই। একের পর এক অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। আমি বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ও জেলা প্রশাসক মহোদয় কে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.