|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নবীনগরে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশের তারিখঃ ২৫ জুন, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কাদৈর গ্রামের বাবুল মিয়া ও কুতুব উদ্দিনের মধ্যে ২০২১ সাল থেকে মাটি ভরাটের কাজে বাঁধা দেওয়া কে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা ও মারামারি ঘটনা চলমান রয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালে বাবুল মিয়ার ফসলি জমির পাশে কুতুব উদ্দিন ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করছিলো। ড্রেজারের মাটি ও পানি ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে বলে বাঁধা প্রদান করেন জমির মালিক বাবুল মিয়া। এর ফলে সেসময়ে কুতুবউদ্দিন ও তার লোকজন বাবুল মিয়ার পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়। এছাড়াও এঘটনা জের ধরে ২০২২ সালে বাবুল মিয়ার গরুর খামারের সামনে থাকা ৩ টি খড়ের পাড়ায় রাতের অন্ধকারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ২০২৩ সালে আবারও তার পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। ঐ হামলার পর বাবুল মিয়ার ছেলে মিয়া খান থানায় মামলা করেন। আর এই মামলার জের ধরে ২০২৪ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এলাকার চিহ্নিত চোর মোঃ রাজিব ওরফে বাঘা কে চুরির অপরাধে ধরে তার মুখ থেকে মিয়া খানের নাম বের করে এবং সেসময় চুরের অপবাদ দিয়ে ফাঁসিয়ে বাজারে এনে হাত পা বেধেঁ মিয়া খানকে বেধরক মারধর করা হয়। এঘটনার পর থেকে নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে মিয়া খান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন।
বাবুল মিয়ার ছেলে মিয়া খানের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীঘর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, সত্যিই বাবুল মিয়া ও কুতুবউদ্দিন এর মাঝে বিরোধ চলছে। তারা জানান, বাবুল মিয়ার ছেলে মিয়া খান কৃষি কাজ করে তার সংসার চালাতো। সে ছেলে হিসেবে অনেক ভাল ও ভদ্র ছিলো। এছাড়াও মিয়া খান বাজারে আখের রস বিক্রি করেও রোজগার করতে দেখেছি। মিয়া খান চুরি করবে এমন ছেলে সে না।
এবিষয়ে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মোছা বলেন, বাবুল মিয়া ও তার ছেলে মিয়া খান খুবই ভাল মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে কখনো কোন অভিযোগ আসেনি।
এসময় মিয়া খানের বাবা বাবুল মিয়া বলেন, স্থানীয় নিয়ামত, দেলোয়ার, জালাল এবং নিয়ামতের ছেলে রায়হান ব্যক্তি স্বার্থে তাদের পরিবার কে গ্রাম ছাড়ার পায়তারা করছে। যার কারণে আমার নিরীহ ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে হাত পা বেঁধে মারধর করেছেন এবং সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন কাদৈর ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার কে হাতিয়ার বানিয়ে নিয়ামত মিয়ার লোকজন কিছু মানুষের কাছ থেকে গণ স্বাক্ষর নিয়েছে আমাদের কে গ্রাম ছাড়া করবে বলে। আমার ছেলে এখন ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছেন না। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ ন্যায় বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নিয়ামত মিয়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বলে জানান।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.