|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সোনারগাঁয়ের বানিয়াবাড়ি গ্রামের মাটির রাস্তার বেহাল দশা
প্রকাশের তারিখঃ ২৩ জুন, ২০২৪
সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের ছোট্ট একটি গ্রাম বানিয়া বাড়ি! গ্রামে অসংখ্য লোকের বসবাস! গ্রামটি অন্যান্য গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন! চতুর্দিকে ধানক্ষেতের জমি আর মাঝখানে গ্রামটি অবস্থিত! গ্রামের লোকজন একসময় কৃষি কাজের উপর নির্ভর ছিল! বর্তমানে ইট ভাটার কারণের জমির সকল মাটি কেটে পুকুরে পরিণত হয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে! এক সময় গ্রামের লোকজন শিক্ষা, বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত ছিল! অন্যান্য গ্রামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ভালো রাস্তা ছিল না! বর্ষাকাল এলে পানির কারণে গ্রামবন্ধ হয়ে পড়তো গ্রামের সকল মানুষ! হঠাৎ একদিন গ্রামের সকল মানুষের সমর্থনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিকে না চেয়ে, নিজেরাই রাস্তা নির্মাণের কাজের জন্য উদ্দ্যেগ নিয়ে, পরের দিন সকালে সবাই রাস্তার কাজের জন্য নেমে যায়! এই রাস্তা করতে গিয়ে জমির মালিকদের সাথে অনেক ঝগড়া বিবাদ মামলা হয়েছে! রাস্তাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চোখে পড়লে প্রথমে একটা বরাদ্দের মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ আসে! শুধু মাটি ভরাট কাজ আসার ফলে বর্ষাকালে ও বৃষ্টির সময় রাস্তায় কাদা হয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচলে বেকায়দা সৃষ্টি হয়ে যায়! বর্ষাকালে রাস্তাটি পানিতে ডুবে যায়, বৃষ্টির সময় রাস্তাটি কাদার কারণে চলাচলের জন্য স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও বৃদ্ধ মুরুব্বিদের জন্য অসুবিধা হয়ে পড়ে! রাস্তায় কাদা হওয়ার ফলে জরুরী কোন ভারি পণ্য বা জরুরি রোগীদের নিয়ে রাস্তায় চলাচল করা যায় না! বৃষ্টির সময় রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি নিয়ে আসা যায় না! নোয়াকান্দি (সৈয়ালপাড়া) থেকে বানিয়াবাড়ী পর্যন্ত পুরোটাই মাটির কাঁচা রাস্তা! স্থানীয় মসজিদ সভাপতির সহায়তায় গ্রামের ভিতর দিয়ে চার ফুট করে রাস্তা করা হয়েছে! এই রাস্তাটি বানিয়াবাড়ী গ্রামের আ: বারেক এর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে! এবং মসজিদের যাওয়ার জন্য সাদিপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লার মাধ্যমে ৪০০ ফুটের একটা নতুন রাস্তা করা হয়েছে! এই সবগুলো রাস্তাই মাটির কাচা রাস্তা রয়েছে! রাস্তা হওয়ার আগে গ্রামে শিক্ষিতের হার ছিল ১%! রাস্তাটি হওয়ার পরে বর্তমানে গ্রামে শিক্ষিতের হার ৬০%! কিন্তু রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে ভাড়ি পণ্য, ইমারজেন্সি রোগীদের নিয়ে যাওয়া আসা করা যায় না! রাস্তাটি সম্পূর্ণ পিচ্ ডালাই পাকা হলে শিক্ষিতের হার বৃদ্ধি পেত, যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রামটি আরো উন্নতির দিকে অগ্রসর হত! মুমূর্ষ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত! সব সময় গাড়ি চলাচলের কারণে জনগণের ভোগান্তি কমে যেত! স্থানীয় জনগণের দাবি রাস্তাটি পুনরায় বরাদ্দ দিয়ে সম্পূর্ণ মেরামত ও পিস ঢালাই এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ করার!
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.