|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সাভারে মহাসড়কগুলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ জুন, ২০২৪
ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে মহাসড়কগুলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি জেনেও কলকারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে পথচারীরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারছেন। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় পৌরসভা সাভারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে তেমন কিছু এখনো গড়ে ওঠেনি। নেই নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন। পুরো শহরই বলতে গেলে অপরিচ্ছন্ন। আমিনবাজার, হেমায়েতপুর ও রাজফুলবাড়িয়া পার হলেই সাভার পৌরসভা এলাকা। সড়কের দুই পাশে কিছুদূর পরপরই ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে এ আবর্জনা। ফলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে সাভার।
ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিনের অভাবে আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে যত্রতত্র। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ সাভারবাসী।
সাভারের ঢাকা-আরিচা, ধামরাই ও নবীনগর-চন্দ্র ও আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে অর্ধশতাধিক ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। দিন যতই যাচ্ছে মহাসড়কের দুই পাশে ময়লার স্তূপ ততই বড় হচ্ছে। স্থানীয় হাটবাজার, পাড়া-মহল্লা এমনকি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মহাসড়ককে। ফলে সড়কের দুই পাশের বাতাস হয়ে উঠছে বিষাক্ত।
নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে উৎকট গন্ধে। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষার্থীরাসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
পৌরসভার অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন শত শত টন ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপরে। অথচ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসম্পন্ন সাভার পৌরসভা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকালে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা ও বিভিন্ন বাসা বাড়ির লোকজন বিভিন্ন এলাকা মার্কেট ও মহল্লা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা এনে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে এসব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকাসহ মহাসড়কের ওপরে এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী এবং এসব এলাকার বসবাসকারীরা ও গার্মেন্ট শ্রমিকরা। চলাচল করতে কষ্ট হয়। মুখ চেপে শ্বাস বন্ধ করে হাঁটতে হয়। আবর্জনার পাশে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, আবাসিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকলেও এটা নিয়ে পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.