|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
লৌহজংয়ে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশের তারিখঃ ৩১ মে, ২০২৪
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মানবাধিকার ও সংবাদকর্মী এইচ এম ইমরানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস)এর
আয়োজনে মানববন্ধন থেকে বক্তারা ইমরানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শুক্রবার (৩১ মে) উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজারস্থ লৌহজং প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন পালন করে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর চেয়ারম্যান ও মানবাধিকার কর্মী বৃন্দরা ৷
আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ১৯ মে রাতে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের পয়শা গ্রামে চঞ্চল রাজের ছেলে স্বপ্নীল রাজ ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে ১৫ জন বহিরাগত লোক নিয়ে আসে এবং চঞ্চল রাজ ২০ তারিখ একটার সময় সদরঘাট থেকে ৫ থেকে ৬ টি মাইক্রোবাসে করে ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসে পয়শা গ্রামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এখবর পেয়ে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি মুন্সীগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এইচ এম ইমরান সহ এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদেরকে ১ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে গ্রাম থেকে বিতারিত করে৷ এ ঘটনার জের ধরে গত ২৩ মে দুপুরে চঞ্চল রাজের নেতৃত্বে বহিরাগত লোক দিয়ে সদরঘাটে ইমরানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন খাবার হোটেলে গিয়ে হামলা চালায়। উপস্থিত ছিলেন পয়সার গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর হোসেন মোল্লা সাধু তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী । তিনি বলেন আমি ও ইমরান দুপুরের খাবার খেতে আসি হোটেল দীপুতে হঠাৎ অতর্কিতভাবে একদল লোক চঞ্চলের নেতৃত্বে হামলা করে এবং চঞ্চল ছুরি নিয়ে আঘাত করতে যায় আমি তখন ছুরিটি আটকে ফেলি। তাদের লোকে বল বেশি থাকার কারণে সামাল দিতে পারি না, ইমরানের উপর হামলা হয়। এবং মার খেয়ে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুমন এসে উপস্থিত হয় এবং তাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক ব্যবসায়ীরা এসে উপস্থিত হয়।
সাংবাদিক ইমরান বলেন ইতিপূর্বে ইউপি নির্বাচনে বহিরাগত সন্ত্রাসী পয়সা গ্রামে নিয়ে আসে ।গ্রামবাসী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এলাকা ছাড়া করে। এবং সদরঘাট ব্যবসায়ী মহলে একাধিকবার বহিরাগত লোক এনে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালায়। অধিক টাকা এবং অবৈধ ক্ষমতা থাকার কারণে সাধারণ ব্যবসায়ী মহল মুখ খুলতে ভয় পায়। ইতিপুর্বে সদরঘাট ব্যবসায়ী মহলে মারামারির ঘটনা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে । আমার উপর যে অন্যায় জুলুম হয়েছে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসী চঞ্চলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি চেয়ারম্যান মাহবুবুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শারমিন, মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাজী মো. রবিন প্রমুখ৷
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.