|| ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নাতনি গুরুতর আহত হাজীগঞ্জে দাদি-নাতিকে কু”পি”য়ে” খু*ন
প্রকাশের তারিখঃ ২৮ মে, ২০২৪
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে বসতঘরে ঢুকে এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার গ্রামের বকাউল বাড়িতে সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ঘটে।
নিহতরা হলেন, মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী হামিদুন্নেছা (৭০), তাঁর নাতি আরাফাত হোসেন (১২)। গুরুতর আহত নাতনি হালিমা আক্তার মিম। সে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদয়ালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত বৃদ্ধার ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, হামিদুন্নেছার তিন ছেলে প্রবাসী। তিন ছেলের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তারা ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। সোমবার রাতে নাতি–নাতনিদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তার শাশুড়ি।
এ সময় বোরকা পরে এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর ঘরে থাকা লোকদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে আমার শাশুড়ি মা হামিদুন্নেছা নিহত হন। ছেলে আরাফাত হোসেনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে মেয়ে হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আবদুল গণি নামে ওই বাড়ির একজন বলেন, হত্যার পেছনে দুইটি কারণ থাকতে পারে। মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে তার পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন তাদের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. অরুণ বলেন, রাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর নাতি মারা যায়। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
হত্যার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে পিবিআই, সিআইডি, র্যাব ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ জোড়া খুনের ঘটনার সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনার সুত্র আমরা পেয়েছি, সেই সুত্রধরে আমাদের পিবিআই, সিআইডি, র্যাব ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে। দ্রুত আমরা খুনিদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.