|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সীতাকুণ্ডে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ,বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
প্রকাশের তারিখঃ ২৭ মে, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়েছে।
এতে মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী যান চলাচল প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। তাছাড়া বিভিন্নস্থানে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুৎতের তার।
মহাসড়কে পড়ে থাকা গাছের সংবাদ পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেঙে পড়া গাছটি সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২ টার সময় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল বাতাসে বাড়বকুণ্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়ে।
ফলে দুই ঘণ্টা চট্টগ্রামমুখী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় উপড়ে পড়া গাছ কেটে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই ব্যাপারে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নূরুল আলম দুলাল বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসে মহাসড়কে উপড়ে পড়া গাছের কারণে চট্টগ্রামমুখী সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বাতাস কমে যাওয়ার পর গাছগুলো কেটে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী পলাশ ভৌমিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাড়বকুণ্ডসহ বিভিন্ন স্থানে হেলে পড়েছে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। বৃষ্টির মধ্যে হেলে পড়া খুঁটিগুলো ক্রেন দিয়ে ওঠানোর পাশাপাশি ভেঙে পড়া গাছপালা কেটে বৈদ্যুতিক লাইন সচলের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত লাইনগুলো কবে নাগাদ সচল হবে, সে ব্যাপারটি নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে ফৌজদারহাট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুম জানান, আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.